আপনি পড়ছেন

মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। আর সবচেয়ে ঘৃণিত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি চালানো হয়েছে জর্ডান, তিউনিশিয়া, লেবানন ও ইসরায়েলে।

erdogan turkey president

জরিপে দেশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব সবচেয়ে বেশি ক্রমবর্ধমান। তবে প্রভাব বিস্তারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তুরস্কের চেয়ে উপরে অবস্থান করছে।

পিউ রিসার্চের জরিপ চিত্রে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে লেবাননে এরদোয়ান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। লেবাননের ৬৬ শতাংশ মানুষ তাকে নেতা হিসেবে বিশেষ পছন্দ করেন। লেবাননের পর তিউনিশিয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ দেশটিতে ৫৯ শতাংশ মানুষ এরদোয়ানের সমর্থক।

তবে ইসরায়েলিদের কাছে এরদোয়ান সবচেয়ে অপছন্দের মানুষ। মাত্র ১৫ শতাংশ ইসরায়েলি তার ব্যাপারে ইতিবাচক। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসবাসরত আরবরা তার সমর্থক।

মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের প্রভাব বাড়ছে: জরিপে দেখা যায়, গত দশ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের প্রভাব বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে জর্ডানে তুরস্কের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ইসরায়েলের পার্শ্ববর্তী এ মুসলিম দেশে তুরস্কের ৭৬ শতাংশ প্রভাব বেড়েছে।

এদিকে লেবাননের ৯৯ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহুকে অপছন্দ করেন। আর জর্ডানে এই হার ৯৬ শতাংশ। আর তুরস্কের ৭৯ শতাংশ নাগরিক নেতানিয়াহুকে অপছন্দ করেন। তবে ৭ শতাংশ তুর্কি নাগরিক ইসরাইয়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে কার জনপ্রিয়তা

জর্ডান: মধ্যপ্রাচ্যের এ গুরুত্বপূর্ণ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষ এরদোয়ানকে পছন্দ করেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতি ইতিবাচক ধারণা করেন ৩৪ ভাগ মানুষ। এদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ, দেশটিতে ৮৬ ভাগ মানুষ তাকে পছন্দ করেন।

আর সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে। দেশটিতে ৯৯ ভাগ মানুষ তাকে ঘৃণা করেন। আর ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানীকে পছন্দ করেন মাত্র ৩ ভাগ মানুষ। 

তিউনিশিয়া: দেশটিতে এরদোয়ানকে ৫৯ ভাগ মানুষ পছন্দ করেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষন করেন ৩০ ভাগ। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ৩২ ভাগ মানুষ পছন্দ করেন। জর্ডানের আবদুল্লাহকে দ্বিতীয় ২৬ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন। এছাড়াও আসাদকে ২১ ভাগ, রুহানিকে ২১ ভাগ, নেতানিয়াহু ৭ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন।

লেবানন: দেশটিতে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা ৪২ ভাগ, সিসির ৩৬ ভাগ, সালমান ৩১ ভাগ, আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ২৫ ভাগ, আসাদ ৪৪ ভাগ, রুহানির ৪৫ ভাগ জনপ্রিয়তা রয়েছে।

ইসরায়েল: আরব বেষ্টিত এ দেশটিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মুসলিম নেতা হলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। যিনি প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ইসরায়েলে সিসিকে পছন্দ করেন ৪৪ ভাগ মানুষ। আর ইসরায়েলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে। দেশটির ৯৫ ভাগ মানুষই ইরানের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।

দেশটিতে এরদোয়ানকে ১৫ ভাগ, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ১৪ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন।  এছাড়া জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয়কে ৪৩ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন। আর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকেও ইসরায়েলিরা অপছন্দ করেন। দেশটির ৯৩ ভাগ মানুষেই বাশার আল আসাদকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন।

সূত্র: পিউ রিসার্চ সেন্টার, জেরুজালেম পোস্ট

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.