উ. কোরিয়ায় হামলার পরিণতি হবে ভয়াবহ, পুতিনের হুঁশিয়ারি

উত্তর কোরিয়ার ওপর সম্ভব্য মার্কিন হামলার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

পুতিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তার বাহিনীকে উত্তর কোরিয়ার ওপর আগে ভাগে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন তাহলে মার্কিন সেনারা সব লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা করতে সক্ষম হবে না আর তার পরিণতিও হবে ভয়াবহ।’

অন্যদিকে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন হামলায় যদি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা সম্ভব হয় এবং দেশটির নেতা কিম জং উন নিহত হন তাহলেও লাখ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটবে। এমন অমানবিক পরিস্থিতি বিশ্ববাসী প্রত্যাশা করে না।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার চলমান সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হোক মস্কো তা সমর্থন করে না।’

২০০৫ সালে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির রাশ টেনে ধরার জন্য রাশিয়া, চীন, আমেরিকা, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হচ্ছে মন্তব্য করে পুতিন বলেন, ‘আমেরিকার অতীত কিছু কর্মকাণ্ড পিয়ংইয়ংকে চুক্তি লঙ্ঘন করে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে। তাই চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আমেরিকা দায়ী হবে।’

পুতিন অভিযোগ করে বলেন, ‘২০০৫ সালে চুক্তির কয়েক মাস পরই আমেরিকা উস্কানিমূলক তৎপরতা শুরু করে। অথচ বেইজিংয়ে চুক্তির সময় আমেরিকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা কোরিয় উপদ্বীপে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে না এবং পিয়ংইয়ংয়ের ওপর হামলা চালাবে না।’

‘এ আশ্বাসের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার তখনকার নেতা কিম জং ইল তাদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখেন। এর কিছুদিন পর মার্কিন সরকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার এক কোটি ৪০ লাখ ডলার আটক করে দেয়।’

এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে পুতিন বলেন, ‘মার্কিন পদক্ষেপের কারণে উত্তর কোরিয়া মনে করেছে, পরমাণু বোমাই কেবল তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই পিয়ংইয়ং সে পথই বেছে নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দু পক্ষেরই এখন শোচনীয় পরিস্থিতি ঠেকাতে শান্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি।’