‘জেরুজালেমের এক টুকরা পাথরের মালিকানাও ইহুদিদের নেই’

জেরুজালেম শহরের একটি পাথরের টুকরার মালিকানাও ইহুদিদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড মুফতি আহমেদ আত-তাইয়্যেব। তিনি বলেছেন, ‘সেখানকার (জেরুজালেম শহরের) ইট-কাঠ-পাথর সব মুসলমানদের সম্পদ। কাজেই তারা (ইসরায়েলিরা) জেরুজালেমে তাদের মন্দির থাকার যে দাবি করে তা ভিত্তিহীন।’

১৯৬৭ সালে মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদসমৃদ্ধ শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েল দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন জবরদখল করে প্রতিষ্ঠিত অবৈধ রাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিলেও জেরুজালেম শহরের ওপর ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি এই বিশ্বসংস্থা। অথচ সেই শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প।

গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার এই স্বীকৃতির নিন্দা জানিয়েছে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর, শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় এক বক্তৃতায় আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে কেন পবিত্র স্থান তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কুরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণী তুলে ধরে আল-আজহারের গ্রান্ড মুফতি বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর (সা.) মতোই পবিত্র স্থান।’

আহমেদ আত-তাইয়্যেব বলেন, তাওরাতকে উদ্ধৃত করে ইহুদিরা আল-আকসা মসজিদকে তাদের সম্পদ বলে যে দাবি করে তার কোনো ভিত্তি নেই। ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বেও জেরুজালেম শহরে আরবরা বসবাস করত।’