শৌচাগার ব্যবহারে পুরস্কার

টয়লেট ব্যবহারে পাওয়া যাবে অর্থ। সম্প্রতি এমন একটি প্রকল্প চালু করেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের একটি প্রতিষ্ঠান। শিশুদের টয়লেট ব্যবহারের অভ্যেস গড়ে তোলার জন্যই সেখানকার স্যানিটেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গাইজেশন নামের প্রতিষ্ঠানের অধীনে নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। যার ফলে ইতোমধ্যে গুজরাটের গণশৌচাগার থেকে টিকিটের মূল্য উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।

শহর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, আগে থেকেই টয়লেট ব্যবহারের কোন অভ্যাসই এদের মধ্যে গড়ে উঠেনি। এখানে বসবাসরত অধিকাংশরাই গ্রাম থেকে আসা। টয়লেট নিয়ে এদের মনের মধ্যে কিছু কুসংস্কার ভর করে আছে। এই যেমন, খারাপ আত্মার ডাইনীরা সব টয়লেটেই অবস্থান করে। শৌচাগারে গেলে তাদের সন্তানকে অপহরণ করা হবে। এ জাতীয় আরো অনেক কুসংস্কার তাদের শৌচাগার ব্যবহারে বাধা দেয়।

গুজরাটের সরকারী স্যানিটেশন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রধান অনিল প্রজাপতি বলেন, 'আমরা তাদের টয়লেট ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলার জন্য গণশৌচাগার বানিয়েছি। কিন্তু সেটা তারা ব্যবহার করছে না। তাই অন্য উপায়ে এটি ব্যবহারের কৌশল নিয়ে এগোচ্ছি। এটা শুরু করছি শিশুদের দিয়ে। এখন থেকে যে শিশুরা মল ত্যাগের জন্য শৌচাগার ব্যবহার করবে তাদের প্রতিদিন এক রুপি করে দেয়া হবে।পাশাপাশি দেওয়া হবে চকোলেট। পুরস্কার ঘোষণার পর ইতোমধ্যে এটির সুফলও পাচ্ছি আমরা।'

রুপি এবং চকোলেট পাওয়ার আশায় শিশুরা ইতোমধ্যে মলত্যাগে শৌচাগার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তবে এখন শহর কর্তৃপক্ষ ভাবছে বড়দের নিয়ে। তাদের ক্ষেত্রেও শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে দেয়ার জন্য এই প্রকল্পই হাতে নেয়া হচ্ছে। দেখা যাক বড়দের শৌচাগারে পাঠানোর ব্যপারে এই প্রকল্প কতটা সাফল্য নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় খোলা স্থানে মলত্যাগ ঠ্যাকানোর জন্য মলত্যাগকারী ব্যক্তির ছবি তুলে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে দেয়ার অভিনব পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়েছিল। এবার গুজরাটের শিশুদের জন্য নেয়া হলো পুরস্কারের উদ্যোগ। আর ভারত সরকার এমন উদ্যোগ না নিয়েই বা কি করবে। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যমতে, বিশ্বের একশো কোটি মানুষ খোলা স্থানে মলত্যাগ করে। তার মধ্যে যে স্বয়ং ভারতেই রয়েছে ষাট কোটি!

আপনি আরো পড়তে পারেন 

২২০ কেজি ওজনের মাছ ধরলো ১০ বছরের বালক

পচা গন্ধ ছড়াবে যে গ্রেনেড

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর