ভারতের মধ্যপ্রদেশে একই স্থানে বসন্ত পঞ্চমীর পুজো এবং জুম্মার নামাজ আদায় নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিলো তা কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয়েছে। সূর্যোদয় থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত বসন্ত পঞ্চমীর সরস্বতী পূজা হওয়ার পর বেলা বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত সেই স্থানে মুসলমানরা জুম্মার নামাজ আদায় করেন। এরপর আবার শুরু হয়ে সূর্যাস্ত অবধি হিন্দুরা পূজা চালিয়ে যান।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোজশালায় হাজার বছরের পুরনো একটি সৌধকে স্থানীয় হিন্দুরা সরস্বতী দেবীর সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির বলে দাবী করে থাকে। এদিকে একই সৌধটিকে কামাল মাওলানার দরগা এবং মসজিদ দাবি করে মুসলমানরা। ফলে প্রায় সময়ই এই স্থানে পূজা ও নামাজ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই স্থানটিতে সপ্তাহে শুধু মঙ্গলবার হিন্দুদের পূজা দিতে দেওয়া হয়। আর শুক্রবারে মুসলমানদের জুম্মার নামাজ পড়তে দেওয়া হয়। এই দুইদিন বাদে সপ্তাহের অন্যান্য দিন সৌধটিতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারলেও কেউই নামাজ বা পূজা দিতে পারেন না।
কিন্তু এই বছর একইদিনে সরস্বতী পুজো এবং শুক্রবারের জুম্মার নামাজ হওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হিন্দু নেতারা তাঁদেরকে সারাদিন পূজা করতে দেয়ার দাবি তোলেন। আবার একইসাথে মুসলমানরাও তাঁদেরকে জুম্মার নামাজ পড়তে দিতে হবে বলে জোর দাবি জানান। সৃষ্টি এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসন দুই সম্প্রদায়ের মানুষকেই সময় ভাগ করে দিয়ে পূজা ও নামাজ আদায়ের সুযোগ দেন।
এইরকম অবস্থা ২০০৩, ২০০৬ আর ২০১৩ সালেও সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা যায়। তখনও এই একই নিয়ম পালন করেছিল পুরাতত্ত্ব বিভাগ।