ভারতের হরিয়ানা প্রদেশে বিক্ষোভের আগুন নেভেনি ৭ দিনেও। রাজ্যের রহতক ও ঝিন্দসহ অনেক জায়গায় বাসা-বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এদিকে আন্দোলন থামাতে শুক্রবার থেকে চলমান জাঠ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, আন্দোলনকারীরা হরিয়ানা প্রদেশের বেশকিছু বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। রোহতক এলাকায় বাস, গাড়ি, পেট্রোল পাম্প, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতেও আগুন লাগানো হয়েছে। তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মুনাক ক্যানাল। দিল্লির পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দমাতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
জানা যায়, ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। তাণ্ডব ঠেকাতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। তারপরও অশান্ত হরিয়ানা। হরিয়ানা থেকে দিল্লি, পঞ্জাব, হিমালচল, জম্মু কাশ্মীর রাজস্থান ও চণ্ডীগড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত। স্টেশনে আগুন-অবরোধ ১ হাজারেরও বেশি ট্রেন ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।
বিক্ষোভের পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সোমবার রাজ্যের সকল সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। এদিকে হরিয়ানার পরিস্থিতির জন্য খট্টর সরকারকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা।