সেবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে ভূপাতিত হয়েছিল ইরানের বিমান

কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভূপাতিত করে ইরান। এতে বিমানে থাকা ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। তবে এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ভূলবশত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্বীকার হয়ে ভূপাতিত হয়েছে একাধিক যাত্রীবাহী বিমান। এসব দূর্ঘটনায় একজন যাত্রীও বাঁচেননি। আজ আমরা জানবো কীভাবে ১৯৮৮ সালে ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছিল।

১৯৮৮ সালে তখন ইরাক-ইরান যুদ্ধ চলমান। ইরাককে সহযোগিতা করছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে বছরের ৩ জুলাই ইরানের আব্বাস বিমানবন্দর থেকে ২৯০ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে ফ্লাইট ৬৫৫। পারস্য সাগরে বিমানটি অবস্থানের সময় তাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সেখানে মোতায়েন থাকা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ভিনসেন।

এতে বিমানটিতে থাকা ২৯০ জন যাত্রী ও বিমানে নিয়োজিত ক্রুদের সবাই নিহত হন। যাত্রীদের অধিকাংশ হজ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন বলে দাবি করে ইরান। ঘটনাটি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, তাদের কাছে তথ্য ছিল আব্বাস বিমানবন্দরে এফ-১৪ মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ইরান। ফ্লাইট ৬৫৫ বিমানটি ইউএসএস ভিনসেনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় তাকে বারবার দিক পরিবর্তনের সংকেত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্যাপ্টেন এর কোনো উত্তর দেননি। তাই মার্কিন সেনারা বিমানটিকে ইরানের এফ-১৪ যুদ্ধবিমান ভেবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভুল স্বীকার করে বলে, তাদের জন্যই ২৯০ জন যাত্রী নিহত হয়েছে।

পরের বছর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ইরান। যার মীমাংসা হয় ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিহত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার মাধ্যমে।