আপনি পড়ছেন

পৃথিবীর তাপমাত্রা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় পৃথিবী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকবছরের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন বনাঞ্চল দাবানলের আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন আমাজন ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অনেকটাই দাবানলের আগুনে পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি প্রাণী মারা যায়।

global warming new

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য আমরা সাধারণত গাড়ি, ফ্যাক্টরি ও বিভিন্ন কলকারখানা থেকে বেরোনো ধোঁয়াকে দায়ী করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি, এসবের পাশাপাশি প্রযুক্তির ওপর আমাদের অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়াও তাপমাত্রা বাড়ার জন্য দায়ী। সম্প্রতি বৃটেনের একটি এনার্জি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে গবেষণাপূর্বক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চমকে দেয়া সব তথ্য। সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রতি মুহূর্তে বিশ্বে যে ই-মেইল চালাচালি হচ্ছে তা থেকেও প্রচুর পরিমাণে কার্বন নির্গমন হয়। একুশ হাজার কিলোগ্রাম কয়লা পোড়ানোর সময় যে কার্বন নির্গমন হয়, তা সমগ্র বিশ্বে প্রতি মিনিটে মেইল আদানপ্রদানের ফলে নির্গত কার্বনের সমান। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো, ফেসবুক পোস্টে রিয়েক্ট দেয়া, ইউটিউবে ভিডিও কিংবা অনলাইনে সিনেমা দেখার ফলেও কার্বন নির্গমন হয়।

বৃটেনের এনার্জি প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় জানা যায়, শুধু বৃটেনেই প্রতিদিন ৬ কোটি ৪০ লাখ অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল আদান-প্রদান করা হয়। এ থেকে প্রতিবছর কার্বন নির্গমন হয় ষোল হাজার চারশো তেত্রিশ টন। যা দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে ৮১ হাজার ১৫২টি বিমানের আসা যাওয়ার সময় কার্বন নির্গমনের সমপরিমাণ।

গবেষণায় আরো জানা যায়, ৩০ হাজার ৩৩৩টি ডিজেল গাড়ি যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে, শুধু বৃটেনেই অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল আদান-প্রদান করার মাধ্যমে একই পরিমাণ কার্বন নির্গমন হয়। এছাড়া ৩০ মিনিটের একটি অনলাইন ভিডিও দেখলে দেড় কিলোগ্রাম কার্বন নির্গমন হয়। একজন ফেসবুক ইউজার প্রতিবছর ২৯৯ গ্রাম কার্বন নির্গমন করে থাকেন। ইন্টারনেটে কিছু সার্চ করলেও কার্বন নির্গমন হয়।

e mail

আপনি হয়তো ভাবছেন ই-মেইল পাঠালে কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে কিভাবে কার্বন নির্গমণ হয়? তাহলে সেটাও জেনে নিন।

প্রতিটি ই-মেইল প্রথমে একটি ডেটা সেন্টারে গিয়ে স্টোর হয়। ওই ডেটা সেন্টারের শক্তি লক্ষাধিক পার্সোনাল কম্পিউটারের শক্তির সমান। ফলে ডেটা সেন্টারগুলো সমগ্র বিশ্বে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের দশ শতাংশ ব্যবহার করে থাকে। আর যেহেতু কয়লা ও গ্যাস দিয়ে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তাই ই-মেইল পাঠানোর কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.