মোদি: ঐতিহাসিক অন্যায়ের কারণেই নাগরিকত্ব আইন

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে যখন তুমুল হট্টগোল চলছে তখন এই আইনের পক্ষে আরেকবার যুক্তি তুলে ধরলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দিল্লির এনসিসি সমাবেশে তিনি ঐতিহাসিক অন্যায়ের কারণেই নাগরিকত্ব আইন বলে উল্লেখ করেন।

মোদি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক অবিচার সংশোধন করতে এবং প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘু মানুষদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই এই নাগরিকত্ব আইন।”

তিনি বলেন, ‘‘দেশ ভাগের সময় ভারত জুড়ে একটি রেখা টানা হয়েছিল যা মানুষকে বিভক্ত করে দিয়েছে। দেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তখন যারা দেশ চালাতো জওহরলাল নেহেরু, লিয়াকত সকলেই ভারতের দলিত, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার কথা বলেছিলেন। এমনকি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণের বিষয়ে গান্ধীজিও একই কামনা করেছিলেন। তাদের সেই আশা পূরণ করতেই বর্তমান সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করেছে।’’

সিএএ-বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘‘কেন তারা নৃশংসতা লক্ষ্য করে না, কেন তারা নৃশংসতা উপেক্ষা করছে, সিএএ নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো দরকার। কেউ কেউ দলিতদের কণ্ঠস্বর হিসেবেও কাজ করছেন। অথচ সেই একই লোক যারা পাকিস্তানে দলিতদের ওপর হওয়া অত্যাচার উপেক্ষা করছে। তারা ভুলে গেছে যে, পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসা বেশিরভাগ নির্যাতিতাই দলিত।”

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজের খ্যাতি-সুনামের জন্য কোনো কাজ করি না। যা করি তা আমি দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্যই করি।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, মোদি দেশের সম্মান বৃদ্ধির কথা বললেও সিএএ-কে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে ভারতের এই ঘটনা বিশ্বের অন্যদের মধ্যেও বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সঙ্কট তৈরি করবে।

অন্যদিকে, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে ভারত আরও ১০ ধাপ পিছিয়ে গেছে।

বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকারের কার্যকলাপেই ভারতের সুনাম গোটা বিশ্বের কাছে নষ্ট হচ্ছে।