করোনা নিয়ে সৌদি বিশেষজ্ঞ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি প্রশাসন। এসব পদক্ষেপের একটিও কাজে দেবে না যদি মানুষ তা অনুসরণ না করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার থেকে অনেক সহজ এর প্রাদুর্ভাব আটকানো। অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম- নীতিকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। খবর আরব নিউজ।

সৌদি আরবে মানুষের দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে

সৌদি আরবের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রিভেন্টিভ মেডিসিন ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর এজ্জুদ্দিন ওকমি বলছেন, এখানে ঠিক কী হারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে তা অনুমান করে বলা কঠিন। তবে মানুষ যদি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক দেওয়া নির্দেশনাগুলো অমান্য করে, তাহলে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুতগতিতে এবং বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, সরকার থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মানুষ মেনে চললে ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। সেইসঙ্গে প্রশাসনের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, তারা যেন আক্রান্তদের খুব দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করে।

সৌদি পতাকা

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দমাতে সৌদি বাদশাহ সালমান গত রোববার (২২ মার্চ) দেশটিতে ২১ দিনের কারফিউ জারি করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা করে কারফিউ জারি করার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যদ্রব্য কেনা ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে সৌদি প্রশাসনের তরফ থেকে কারফিউ শুরুর সময় ৪ ঘণ্টা এগিয়ে বিকেল ৩টা থেকে জারির নির্দেশনা দেয়া হয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যমতে, সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সৌদি আরব ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করে। ওকমি বলছেন, সে সময় তারা একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশটি উপরোক্ত পদক্ষেপগুলোর প্রতি জোর দিচ্ছে, যাতে আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যায়। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা কমানো গেলে মৃতের সংখ্যাও কমানো যাবে বলেও মনে করছেন ওই সৌদি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।