আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে স্বাভাবিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অনেক দেশে। ভারতের মুম্বাইতে এই মহামারি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর এক মুসলিম বৃদ্ধকে কবরস্থ করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাধ্য হয়ে ওই মৃতদেহ দাহ করা হয়। এ নিয়ে ঘটনাস্থল মুম্বাইয়ের মালাড এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

india body burned

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মালাড মালওয়ানি এলাকায় বসবাস করতেন ওই মুসলিম বৃদ্ধ। অসুস্থ হলে পার্শ্ববর্তী যোগেশ্বরী এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। অতঃপর মৃতদেহ নিয়ে কবরস্থানে গেলে স্বজনদেরকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। কবরস্থান কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে কবর দিতে দেওয়া হবে না।

অথচ তারা পৌরসভা থেকে কবর দেওয়ার মৌখিক অনুমতি নিয়েই কবরস্থানে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টা-তদবিরেও টলানো যায়নি কবরস্থান কর্তৃপক্ষকে। তারা কোনোভাবেই ওই মৃতদেহ কবরস্থ করতে দেবে না।

এসময় এগিয়ে এলেন স্থানীয় হিন্দু সৎকার সমিতি। একদিন অপেক্ষার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে দাহ করার অনুমতি মেলে। উপায়ন্তর না দেখে স্বজনরাও তাই করেন।

মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক অবশ্য দোষ চাপালেন মৃত ব্যক্তির স্বজনদের ওপর, ‘সরকারি নির্দেশে বলা আছে, করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হলে পৌরসভার কর্মীরাই নির্দিষ্ট স্থানে সৎকারের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু মৃতের পরিবার কাউকে না জানিয়ে মৃতদেহ নিয়ে কবরস্থানে চলে গেছেন। এ কারণেই অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।’

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.