পিপিই’র দাবিতে বিক্ষোভ, পাকিস্তানে ৩০ চিকিৎসক আটক

মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পিপিই বা পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে সেই উপাদানটাই পর্যাপ্ত সংখ্যক পাননি পাকিস্তানের চিকিৎসক ও নার্সরা। বাধ্য হয়েই কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই রোগীদের সেবা দিলেও সোমবার রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানান স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু দেশটির পুলিশ ৩০ জন চিকিৎসককে আটক করে। খবর আরব নিউজ।

বিক্ষোভের সময় আটক এক চিকিৎসক

খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার সময় নিরাপত্তা সরঞ্জামের দাবিতে রাস্তায় নামেন শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের কারো মুখে মাস্ক ছিলো, কারো ছিলো না। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে। এ সময় কিছু চিকিৎসককে আটকও করা হয়।

পাকিস্তান পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, লকডাউন অমান্য করে গণজমায়েত তৈরি করায় প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এতে অন্য চিকিৎসকরা আমাদের হুমকি দিয়েছেন যে, আটকদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা কাজ করবেন না।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া চিকিৎসক আব্দুল রহমান বলেন, কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করে এখন পর্যন্ত ডজনখানেক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য মেডিকেল কর্মকর্তারাও ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা আজ যোগ্য দাবিই তুলেছেন।

গত মাসেই পাকিস্তানের চিকিৎসকরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম না পেলে কাজে না আসার হুমকি দিয়েছেন। তাদের দাবি, ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে যা প্রয়োজন তার তুলনায় সরকার কিছুই সরবরাহ করতে পারেনি। সেই সময় দেশটির দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানায়, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম আমদানি করা হচ্ছে।

সেই আশ্বাসের পর এখনো পাকিস্তানের অনেক চিকিৎসক পিপিই ও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন।

তবে সোমবারের এই ঘটনার পর কোয়েটা প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র লিকুয়াত শাহওয়ানি বলেন, যারা আন্দোলন করেছেন তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেন না। যারা এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করছেন তারা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম পেয়েছেন।

পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।