পরিবারটির আর কেউই বেঁচে থাকলো না!

ছেলেটির নাম মারিও মেয়রগা জুনিয়র। বাবা-মাকে নিয়ে থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন তিনি। স্বল্প উপার্জন হলেও বাবা-মাকে নিয়ে ভালোই চলছিল ছিমছাম সংসার। কিন্তু হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে মারিও জুনিয়র ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসকে বাসায় নিয়ে এসেছিলেন একদিন। তারপর এই মহামারি একে একে পুরো পরিবারটিকেই নিঃশেষ করে দিল!

পরপর তিন সপ্তাহে করোনা কেড়ে নিল বাবা মা ও একমাত্র ছেলের প্রাণ

মার্চের মাঝামাঝি সময় নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেল মারিও জুনিয়র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে চলে গেলেন। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড বেশি দেরি হয়ে গেছে। পরদিন ৭২ বছর বয়সী বাবা মারিও মেয়রগা সিনিয়রের শরীরেও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। তার এক সপ্তাহ পরে আক্রান্ত হন তার মা এসপেরাঞ্জা মেয়রগা।

ধীরে ধীরে সবার অবস্থাই খারাপ হতে থাকে। তিনজন হাসপাতালের আলাদা আলাদা বিছানায় করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। প্রথমে হেরে গেলেন বাবা মারিও মেয়রগা সিনিয়র, গত ১০ এপ্রিলে মারা যান তিনি। ঠিক নয় দিন পর ১৯ এপ্রিলে মারা যান মা এসপেরাঞ্জা মেয়রগা। ছেলে মেয়রগা জুনিয়র শুধু বাবা-মার মৃত্যুর কথা শুনেছেন, শেষ দেখাটা দেখতে পারেননি। কারণ তিনিও তখন লড়াই করছেন করোনাভাইরাসের সঙ্গে।

সেই লড়াইটাও থেমে গেল ২৪ এপ্রিল। মারা গেলেন মারিও মেয়রগা জুনিয়র। করোনার থাবায় পরিবারটির আর কেউই বেঁচে থাকলো না। ওদিকে মারিও জুনিয়রের একমাত্র ফুফুও করোনায় আক্রান্ত। জানা গেছে, তিনিও একটি হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।