দীর্ঘদিন পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার চিন্তা নিউজিল্যান্ডের

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, তার দেশ আগামী বেশ কিছুদিন সীমান্ত বন্ধ রাখবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নির্মুলের কাছাকাছি না গেলে তার দেশের সীমান্ত খোলার সম্ভাবনা কম বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভার সাথে একটি ভিডিও বৈঠক করেন জাসিন্ডা। যেখানে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ানদের পরস্পরের দেশে যাতায়াতের বিষয়ে আলোচনা হয়। জাসিন্ডা সেখানে বলেন, আপাতত সীমান্ত খুলে দেওয়ার পক্ষে নন তিনি।

আপাতত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড উভয় দেশই তাদের সীমান্ত প্রায় সব দেশের জন্যই বন্ধ করে রেখেছে। এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে মূলত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উদ্দেশ্যে।

প্রতি বছর পর্যটন খাত থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করে নিউজিল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো বেশি দিন সীমান্ত বন্ধ রাখলে এই খাতের কী হবে। উত্তরে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপাতত সীমান্ত খোলা রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই।

নিউজিল্যান্ডের মোট কর্মসংস্থানের ১০ ভাগ কাজ পর্যটন খাতে। তাদের মোট জিডিপির ছয় শতাংশ আসে এই খাত থেকে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। এরপরের অবস্থানগুলো আছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

টানা দুই দিন নিউজিল্যান্ডে নতুন কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি। মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে সব মিলিয়ে ১৫০০ লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০০০ হাজার জনের বেশি এবং মারা গেছেন ৯৬ জন।

তবে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ বিভাগ দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পেরেছেন এবং বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক অঞ্চল এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করা শুরু করেছে।