এবার সেই উহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ চীনা কর্মকর্তার

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে চীন তথ্য লুকোচুরি করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। এবার একই অভিযোগ করলো খোদ দেশটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উহানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করলেন ডা. ঝং নানশান

রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, চীন সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঝং নানশান অভিযোগ করেছেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহরের কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সত্য তথ্য গোপন করেছে।

তিনি বলেন, উহান কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক অবস্থায় সংক্রমণের ব্যপকতার বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। তিনি কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, সম্ভবত দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষের মুখ বন্ধ ছিল। তারা সত্য তথ্য কাউকে দিতে চায়নি।

চীন সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঝং নানশান

তিনি আরো বলেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাস যখন চীন ছাড়িয়ে অন্য দেশেও ছড়িয়ে যায়, তখনও উহানের সরকারি প্রতিবেদনে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল মাত্র ৪১ জন। অথচ উহানের প্রতিটি ঘরেই তখন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিল এবং মারা যাচ্ছিল।

এর আগে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ জানায়, চীন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়েও দেশটি তথ্য গোপন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনিও বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সকলের মনে উদ্বেগ তৈরি করছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শপরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর ধীরে ধীরে তা বিশ্বের প্রতিটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণের ব্যপকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটিকে মাহামারি ঘোষণা করে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুসারে, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ লাখেরও বেশি। সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১৮ লাখের কিছু বেশি। শুধু উৎপত্তিস্থল চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের। সেখানে সংক্রমনের সংখ্যা প্রায় ৮৩ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজারের কিছ ‍বেশি।