উহানে একদিনে প্রায় ১৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের শনাক্ত করতে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের প্রতিটি বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার একদিনে প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা- প্রতীকী ছবি

শনিবার চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার এড়াতে উহান কর্তৃপক্ষ শহরের প্রতিটি বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে শহরের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার সম্পন্ন করা হবে।

তারা আরো জানায়, গত ১৪ মে থেকে বাসিন্দাদের নিউক্লেইক অ্যাসিড পরীক্ষার এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার একদিনে শহরের ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে এদিন নতুন করে কোনো আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি।

বার্ত সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই উহান শহরের প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পরে ধীরে ধীরে তা গোটা চীনসহ সারাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণের বিস্তার শুরু হওয়ার পর গোটা উহান জুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করে শহর কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে প্রায় তিন মাস অবরুদ্ধ অবস্থা জারি থাকার পর গত ৮ এপ্রিল তা তুলে নেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা

এরপর কিছুদিন সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও চলতি মাসের ৯ ও ১০ তারিখে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে নতুন করে বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এতে শহরটিতে ফের সংক্রমণের বিস্তার লাভের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় উহানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু নিরাপদে চালু রাখতে শহরের প্রতিটি বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

দু্ই সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রথম থেকেই দিনে লক্ষাধিক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরে ধীরে ধীরে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত ১৮ মে একদিনে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায় দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা। গত শুক্রবার তা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৫০ জনে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৭৪ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮ হাজার ২৬১ জন।