মার্কিন হুঁশিয়ারি ব্যর্থ করে ভেনিজুয়েলার জলসীমায় ইরানি ট্যাংকার

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভেনিজুয়েলার জলসীমায় প্রবেশ করেছে ইরানি পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার। আজ রোববার 'ব্রাইট ফরচুন' নামের ওই তেল ট্যাংকারটি ভেনিজুয়েলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জলসীমায় প্রবেশ করে। পরে দেশটির বিমান বাহিনী ও নৌ-বাহিনীর সেনারা সেটিকে স্কর্ট করে স্থল ভাগের দিকে নিয়ে যায়।

ইরানের তেল ট্যাংকার 'ব্রাইট ফরচুন'

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ওই ট্যাংকারটির পেছনে ইরানের আরো চারটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো হলো- 'ক্ল্যাভেল', 'ফ্যাকসন', 'ফরেস্ট', ও 'পতুনিয়া'। 'ফরচুন'সহ সবগুলো ট্যাংকারেই পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য রয়েছে।

রাশিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল রাশাটুডে জানায়, ইরানি পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার 'ফরচুন'কে সমুদ্রে ‘অ্যাডাম জোসেফ’নামের একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অনুসরণ করছিল। কিন্তু ট্যাংকারটি যখন ভেনিজুয়েলা জলসীমায় প্রবেশ করে তখন যুদ্ধ জাহাজটি ফিরে যায়।

প্রসঙ্গত, ভেনিজুয়েলা একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের তেল শোধনাগারগুলো অচল হয়ে পড়ায় দেশটিতে পরিশোধিত তেলের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। তাই দেশটিতে পরিশোধিত তেল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় ইরান।

এদিকে, ভেনিজুয়েলা ও ইরানের জ্বালানি খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ইরানের বন্দর আবাস শহর থেকে তেল সংগ্রহ করে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই পাঁচটি ট্যাংকার।

এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানের তেল বিক্রির এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ব্যবস্থা নেবে। এই প্রচেষ্টা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই নয়, বরং পুরো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর কাছেই অনাকাঙ্খিত একটি বিষয়। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা ভেবে দেখা হবে।

এর প্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্টসহ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওই তেল ট্যাংকারগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ঠিক একই ব্যবস্থা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে নেবে তেহরান।