আপনি পড়ছেন

ধীরে লকডাউন খুলে দিচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ইউরোপের দেশে দেশে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই দুঃসহ দিন যে আবার আসবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এর মধ্যেই লকডাউন খুলে দেওয়া হচ্ছে।

polland reopening their schools

একেক দেশে একেক উপায়ে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ইউরোপের পাঁচটি দেশ নিয়ে এই লেখা, যেখানে লকডাউন খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া একেক রকম। যেমন, পোল্যান্ডে খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুল, গ্রিসে খুলে দেওয়া দ্বীপ। অন্য দেশে আবার অন্য রকম।

১. পোলিশ শিশুদের স্কুল খোলা

ইউরোপের অনেক দেশে এরই মধ্যে স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

সোমবার থেকে পোল্যান্ডের শিশুদের জন্য তাদের স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো কোনো বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ জুন মাসের ২৬ তারিখে চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে। মাত্র কয়েকদিনের জন্য বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে ঝুঁকির মুখে ফেলার সিদ্ধান্ত তারা নিতে চাননি।

madrid reopening parks in big cities

যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়। একদম ছোট শিশুদের আপাতত খুব বেশি অধ্যায় পড়ানো হবে না। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একদম শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস চালু হয়েছে। খুলে দেওয়া প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই ক্লাস করানো হবে।

২. দ্বীপে বেড়াতে যেতে পারবেন গ্রিকরা

গ্রিকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দ্বীপে বেড়ানোর সুযোগ। তবে আপাতত স্থানীয় কেবল স্থানীয় পর্যটকরাই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। কবে নাগাদ বিদেশি পর্যটকদের জন্যও সুবিধাটি খুলবে, তা অনিশ্চিত।

দুই মাসের লকডাউনের পরে নিজেদের দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া অনেক গ্রিকের জন্য দারুণ এক পাওয়া। এর মাধ্যমে নিজেদের ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিতেও তারা অবদান রাখতে পারবেন।

europe easing lock down in five ways

গ্রিসের অর্থনীতির অন্তত এক পঞ্চমাংশের যোগান দেয় তাদের পর্যটন খাত। ধারণা করা হচ্ছে, পর্যটন খাত খোলার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল করাই গ্রিসের মূল উদ্দেশ্য।

৩. সাঁতার কাটতে বের হতে পারবেন ইতালিয়ানরা

কড়া স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার শর্তে জিম ও সুইমিং পুল খুলে দিচ্ছে ইতালি।

ইতালির সংবাদ মাধ্যমে জিম ও সুইমিং খুলে দেওয়ার কিছু নিয়মনীতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে: চেঞ্জ রুমে এক সাথে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির বেশি যেতে পারবেন না এবং তাদের সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে হবে, সুইমিং পুল ও জিমে প্রবেশের সময় মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, অনুশীলনের সময় জিমের সেবাগ্রহিতাদের অন্তত দুই মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে, তবে কোনো মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি নয়।

৪. জাদুঘরে বেড়াতে যেতে পারবেন স্প্যানিশরা

করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়া দেশগুলোর অন্যতম হলো স্পেন। ইউরোপের সবচেয়ে কঠোর লকডাউন ছিলো স্পেনেই। তবে এখন দেশটির বিভিন্ন শহরের পার্ক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে।

জাদুঘর পরিদর্শনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এক তৃতীয়াংশের বেশি লোককে প্রবেশে অনুমতি দিতে পারবে না, আর খোলা আকাশের কোনো ইভেন্টে সর্বোচ্চ ২০০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

দেশটির মূল দুটি শহর রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার বার ও অন্যান্য অনেক কিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি স্থান ব্যবহার করা যাবে না।

৫. চেক প্রজাতন্ত্রে খুলে দেওয়া হচ্ছে পানশালা

পানশালায় যেতে পছন্দ করা চেকদের জন্য সুখবর— তাদের পানশালা খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে পানশালায় প্রবেশের পর মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।

সোমবার থেকে চেক প্রজাতন্ত্রের লকডাউনের প্রায় সব কড়াকড়িই উঠিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।

ইউরোপের অন্য অনেক দেশের তুলনায় চেক প্রজাতন্ত্রে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিলো। চেক প্রজাতন্ত্র সবার আগে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.