তিন ওষুধের সংমিশ্রণেই হতে পারে আপাতত মুক্তি!

তিন ধরনের ওষুধের সংমিশ্রণে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে দাবি করছেন ডক্টর জন রাইট নামে যুক্তরাজ্যের ব্যাডফোর্ড রয়াল ইনফার্মারের (বিআরআই) একজন চিকিৎসক। ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ডক্টর জন রাইট

জন রাইট বলেন, করনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন খোঁজা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো এই কাজ ব্রিটেনেও চলছে। এর মধ্যে আমাদের বিআরআই-তে আটটি ভিন্ন ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে যত চেষ্টা চলছে তারই অংশ।

তিনি বলেন, আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলগুলো মূলত রোগীদের করোনার সংক্রমণ থেকে সারিয়ে তুলতে। সবচেয়ে বড় ট্রায়ালটি হয়েছে ১০ হাজার রোগীর ওপর। এই ১০ হাজার রোগীকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা হয়েছে। তাদের তালিকা ভিত্তিক চারটি ওষুধ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে আমরা ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি এস্ট্রাজেনকা- এর একটি ওষুধ প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করেছি। এটি আমাদের ছোট ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের একটি অংশ।

যুক্তরাজ্যের ব্যাডফোর্ড রয়াল ইনফার্মার (বিআরআই)

বিআরআই’র এই চিকিৎসক বলেন, এস্ট্রাজেনকা তাদের এই ওষুধটির কোনো নাম দেয়নি। তবে এটি করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। বিষেষ করে, ফুসফুস, হৃপিণ্ডে প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া ভাইরাসটির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওভার রিয়েকশনও থামিয়ে দিয়েছে ওষুধটি।

তিনি বলেন, আমার মতে- করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন আসতে আমাদের আরো একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। তাই উপযুক্ত চিকিৎসা খুঁজে পেতে এসব ট্রায়াল খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই লক্ষ্যে।

তিন ওষুধের সংমিশ্রণে ভাইরাসটি সেরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। এতে করে ভাইরাসটির তীব্র সংক্রমণ হবে না। মাত্র তিনটি ওষুধেই তা সম্ভব। এন্টিভাইরাল ড্রাগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ওষুধ, প্রদাহ কমিয়ে আনে এমন ওষুধ।

এন্টিভাইরাল ওষুধগুলো কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে এখনো ট্রায়াল চলছে। তবে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে সংক্রমণ কমাতে রেমডেসিভির বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার আওতাভুক্ত হাসপাতালগুলোতে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ওষুধগুলো মূলত দেহে এই ভাইরাসের কারণে দেহে ওভার রিয়েকশনগুলো দেবে।

সংক্রমণের কারণে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে ব্যাপক প্রদাহ সৃষ্টি করে। প্রদাহ কমিয়ে আনে এমন ওষুধ সেই সমস্যা সূর করতে সাহায্য করে, বলছিলেন জন রাইট।