ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকে সমর্থন করে যেসব আরব রাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল দিনের পর দিন ভূমি দখল করে অবৈধ বসতি স্থাপন করছে। সম্প্রতি সেখানে আরো বিস্তৃত এলাকা দখলের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে অসহায় এই ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলে কিছু আরব দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো সৌদি আরব। এমনটিই দাবি করছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম হায়োম।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান

জানা যায়, এ কাজে সৌদি আরব, জর্ডান ও মিশর সমর্থন দিচ্ছে ইসরায়েলকে। যদিও তারা সামনে থেকে এই ভূমি দখল পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু কূটনৈতিকভাবে তারা এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, কিছু ফিলিস্তিনি নাগরিকের জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে পারবে না। 

পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

বিশেষ করে, সৌদি আরবের পরবর্তী বাদশাহ হওয়ার দাবিদার ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিভিন্ন পদক্ষেপ এটিই প্রমাণ করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার খুব গভীর সম্পর্ক। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতিতে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

যদিও এর আগে গত ২১ মে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সর্বশেষ পদক্ষেপের ব্যাপারে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত একতরফা। নিঃসন্দেহে এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এই কার্যক্রম শুরু হলে ওই অঞ্চলে অশান্তি বেড়ে যাবে। শান্তি ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা চলছে তা মুখ থুবড়ে পড়বে।

এতে আরো বলা হয়, এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলো সৌদি আরব। কারণ সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনিকে সমর্থন করে এসেছে। সেই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সবসময়ই অগ্রাধিকার পাবে।