ফ্লয়েড কাণ্ড এবার ফিলিস্তিনে!

মানসিক প্রতিবন্ধীকেও রেহাই দিলো না ইসরায়েলি বাহিনী। ইয়াদ হালাক নামে এক ব্যক্তির বুকে পর পর দুটি গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনাকে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করছেন। ইসরায়েলি পুলিশের এই নিষ্ঠুরতায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিরা। 

ইয়াদ হালাকের ছবি নিয়ে আহাজারি করছেন তার মা

মিডল ইস্ট মনিটরের বরাতে জানা যায়, মানসিক প্রতিবন্ধী ইয়াদ হালাক জানতেনও না ঠিক কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে ব্যবহার করতে হয়। তার দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা ওয়ার্দা আবু দাদিদ এ বিষয়ে ইসরেয়েলি পুলিশকে অবগত করলেও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইয়াদ হালাককে গুলি করার আগে ওয়ার্দা আবু দাদিদ চিৎকার করে বলছিলেন, সে প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী! একটু অপেক্ষা করুন। ওর আইডি দেখুন, আইডি দেখুন!

ওয়ার্দা আবু দাদিদ বলেন, আমি চিৎকার করে বলার পর তিনটি গুলির শব্দ পেলাম। আমি তাদের মানা করলাম। তারা শুনলো না। তারা শুনতে চাইলো না।

নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভে নেমেছেন অনেক ফিলিস্তিনি

জানা যায়, ইয়াদ হালাক শিশুকাল থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার সব সময়েই সমস্যা হতো।

ইয়াদ হালাক প্রসঙ্গে তার আত্মীয় ডক্টর হাতেম আওয়িয়ি বলেন, সে কিছু বুঝতো না। সে বুঝতে পারতো না মানুষ তার কাছ থেকে ঠিক চাইছে। সে জানো না, একজন সেনা কী আর আগ্নেয়াস্ত্র কী। ইয়াদ একজন আগন্তুক দেখে পালাতে চাইলো এবং তারা তাকে গুলি করে হত্যা করলো।

তিনি বলেন, গত ছয় বছর ধরে হালাক একটি রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছে। সেই রিহ্যাবের একটি আইডি সব সময় তার সঙ্গে থাকতো। ইসরায়েলি সেনারা কোনো তল্লাশি ছাড়াই এই কাজ করেছে।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি ঘান্তজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত হবে এবং অবশ্যই এর একটি বিহিত করা হবে।

তবে পশ্চিম তীরের মানবাধিকার সংস্থা বি’টিসেলেম বলছে, নিরপেক্ষ বিচার না পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

ইয়াদ হালাকের এই হত্যাকাণ্ডকে অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনার সঙ্গে মেলাচ্ছেন। অনেকে দুটি বিষয় এক করে টুইটও করেছেন। পশ্চিম তীরে বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভও করেছেন অনেকে।