ফ্লয়েড হত্যার আন্দোলনে ব্রিটিশ মুসলিমদের সংহতি

যুক্তরাষ্ট্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। সেই আন্দোলনে এবার সমর্থন জানালেন ব্রিটেনের মুসলিমরা। দ্য মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন অনেকে।

ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ

এক বিবৃতিতে এই কাউন্সিল থেকে জানানো হয়, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছেন তারা। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা। তাদের কষ্ট এই প্রতিষ্ঠানের কষ্ট।

গত ২৫ মে একটি ভিডিও ক্লিপ বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, এক শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডকে গলা চেপে ধরে আছে। তিনি নিঃশ্বাস নিতে না পেরে কাতরাতে কাতরাতে এক সময় মারা যান।

ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শুরুর দিকে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সব করলেও পুলিশের বাধার মুখে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরপর পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়াল শেলের আঘাতে আন্দোলনকারীরা আহত হতে শুরু করলে পরিস্থিতি নতুন রূপ নেয়। সহিংস ঘটনার পাশাপাশি বেড়ে যায় লুটের ঘটনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্দোলনকারীদের তিনি ‘ডমেস্টিক টেরোরিস্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তার এই মন্তব্যে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন আরো তরান্বিত হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনৈতিক জোসেপ বরেল।

তিনি বলেন, মার্কিনিদের মতো আমরাও ইউরোপীয় নাগরিকরাও এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছি। আমার মতে, সব সম্প্রদায়ের মানুষকেই নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে অবগত ও সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে সব ঘটনা যেন আইন ও নিয়ম মেনেই সামাল দেয়া হয়।

এবার সেই আন্দোলনে সমর্থন দিলেন ব্রিটিশ মুসলিমরা।