ভারতীয় গণমাধ্যম: ভারতকে উষ্কে দিচ্ছে বাংলাদেশ!

দিন কয়েক আগে চীন বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এ বিষয়টিকে ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজার ‘খয়রাতি’ বলে আখ্যা দেয়। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছে গণমাধ্যমটি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আগুনে ঘি ঢেলে দিলো আরেকটি ভারতীয় গণমাধ্যম এশিয়ান নিউজ হাব।

এশিয়ান নিউজ হাবে বাংলাদেশকে নিয়ে দেয়া শিরোনাম

তারা বলছে, ভারতকে উপেক্ষা করে চীন থেকে অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ। তাদের করা প্রতিবেদনের শিরোনামে এমন, ‘ভারতকে উষ্কে দিচ্ছে বাংলাদেশ; চীন থেকে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত’।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নেপালের পর ভারতের আরেক মিত্র বাংলাদেশ এখন চীনের সঙ্গে আতাত করতে শুরু করেছে। দেশ দুটি চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।

আরো বলা হয়, ২০৩০ সালে একটি অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী তৈরি লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। তারা সেই পরিকল্পনার নাম দিয়েছে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’। এর আওতায় চীন থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা হবে।

লাদাখ সীমান্তে চীনা ও ভারতীয় সেনা

চীন থেকে যেসব সামরিক সরঞ্জাম আনা হবে তারও একটি তালিকা দিয়েছে গণমাধ্যমটি। এর মধ্যে রয়েছে নাইট ভিশন গুগলস, ব্যালেস্টিক হেলমেট, চোখের প্রোটেক্টিভ গিয়ার, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগ, হাতে রাখা যায় এমন জিপিএস ডিভাইস, বিডি-০৮ রাইফেলস ইত্যাদি।

এশিয়ান নিউজ হাব বলছে, ২০০৯ সাল থেকেই চীন থেকে সামরিক সরঞ্জামের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে এ খাতে দেশটির সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী বনে গেছে চীন।

ভারতীয় বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চর্চাও আছে। কিন্তু চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে পারে।

তারা বলছেন, দেশটির অনেক বড় বড় প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগ আছে। সম্পর্কের অবনতি হলে খোদ বাংলাদেশই ক্ষতির মুখে পড়বে। আমদানিতেও বাংলাদেশ ভারতের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারত থেকে দেশটি ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। রপ্তানি করেছে মাত্র শূন্য দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

তারা বাংলাদেশকে সাবধান করে বলছেন, ভারতকে টপকিয়ে বাংলাদেশ যদি চীনের দিকে ধাবিত হয় তাহলে দেশটির জন্য তা হবে ‘অর্থনৈতিক আত্মহত্যা’।