ফের বিক্ষোভে উত্তাল হংকং

গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বশাসিত হংকংকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় এনেছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। যা হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ও বাক-স্বাধীনতা দমনে চীনের পক্ষ থেকে নেয়া সর্বশেষ উদ্যোগ। এরপর থেকে হংকংয়ে নতুন করে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

আজ বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিরাপত্তা আইন সংক্রান্ত বিলটিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে একে আইনে পরিণত করেন। এ নিয়ে সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যম।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরাও এ আইনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে চীনের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্রটি।

এদিকে আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। আজ বিক্ষোভ শুরুর পর এখন পর্যন্ত সাতজনকে প্রথমবারের মতো নতুন নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাসের জন্য আটক করা হয় আরো প্রায় দুই শ বিক্ষোভকারীকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- হংকংভিত্তিক বিক্ষোভ দমন এবং চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা বন্ধ করা। এর মধ্য দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ উস্কে দেওয়া, ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ আনা যাবে।

আর এসব অভিযোগের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে রয়েছে আজীবন কারাবাসের বিধান। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, চীন তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অংশ হিসেবেই এ আইন প্রবর্তন করেছে।