খাশোগি হত্যা: দূতাবাসকর্মীর চাঞ্চল্যকর তথ্য
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার বিচার শুরু হয়েছে তুরস্কের আদালতে। ২০ জন সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সৌদি দূতবাসের এক টেকশিয়ান। ওই দিন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর নির্মমভাবে খুন হন মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংট পোস্টের কলাম লেখক এবং সৌদি রাজপরিবার তথা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের তীব্র সমালোচক খাশোগি। প্রথমে সৌদি কর্তৃপক্ষ হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে তা মেনে হয়।
যদিও মর্মান্তিক ওই হত্যার ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে বিন সালমানের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ স্বীকার করেনি রিয়াদ। অথচ মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলছে, সৌদি যুবরাজ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেন বলে তারা মনে করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দীর্ঘ দিন পর শুক্রবার তুরস্কের আদালতে ওই ঘটনার বিচার শুরু হয়েছে। এদিন সাক্ষ্য দেন সৌদি কনস্যুলেটের টেকনিশিয়ান জাকি দামির।
তিনি আদালতে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে দূতাবাসে ঢোকার পরই খাশোগিকে আবাসিক ভবনে ডাকা হয়। সেখানে ৫-৬ জন ব্যক্তি ছিলেন। তারা তাকে তন্দুরের ওভেন জ্বালাতে বলেন। ওই সময় সেখানকার পরিবেশ বেশ থমথমে ছিল।
জানা যায়, বিবাহ সম্পর্কিত কিছু কাগজপত্র আনতে ওইদিন সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন তার বাগদত্তা হাতিজে জেংগিস। কিন্তু সেখান থেকে খাশোগি আর ফিরে আসেননি।
জাকি দামিরের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন দূতাবাসের বাগানে তিনি মাংস কাটার বেশ কয়েকটি বোর্ড দেখেন। সেইসঙ্গে কাবাব জাতীয় কিছু জিনিসও পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। চুলার চারপাশের মার্বেলের স্ল্যাবগুলোর রং এমনভাবে বদলে গিয়েছিল যে দেখে মনে হয়েছিল, কোনো রাসায়নিক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কালো কাঁচের জানালার একটি গাড়ি ঢোকার পর তিনি গ্যারেজের দরজা খোলার জন্য এগিয়ে যান। কিন্তু তাকে দ্রুত বাগান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
অন্যদিকে, দূতাবাসের গাড়িচালক ও অন্য সাক্ষীরা বলেন, স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের কাবাবের জন্য কাঁচা মাংস কিনে আনতে বলা হয়েছিল।
তুর্কি পুলিশ মনে করছে, খাশোগিকে হত্যার পর হত্যাকারীরা তার লাশ খাশোগির মরদেহ পুড়িয়ে অথবা টুকরো টুকরো করে আলামত নষ্ট করেছে।
তুর্কি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করছেন, খাশোগি হত্যার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌদি গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান এবং রাজদরবারের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি। তিনিই খুনিদের একটি দলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাকে হত্যার জন্যই আসামিরা তুরস্কে যান বলে অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, সৌদি আরবেও ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদি আদালত পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। আর তিন জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তবে সৌদি আরব অন্যতম অভিযুক্ত বিন সালমানকে বাঁচাতে এবং অন্য আসামিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর না করতেই এই ‘কৌশল’ করেছে বলে মনে করা হয়।
সম্প্রতি খাশোগির পরিবার বলেছে, তারা হত্যাকারীদের ক্ষমা করেছে। সৌদি আইন অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করছে, সৌদি কর্তৃপক্ষের চাপের কারণেই তারা এই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.
360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.
Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.