ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী: ভূমি দখল হলে মুখ ফিরিয়ে নেবে ইউরোপ

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন অধ্যুষিত অঞ্চল ও জর্ডান ভ্যালি দখল করলে ইউরোপের কূটনীতিকরা ইসরায়েলে আসা বন্ধ করে দেবেন। পাশপাশি জর্ডানের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হবে বলে সাবধান করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আসকেনাজি। স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আসকেনাজি

ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনা উত্থাপনের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন ইউরপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিকরা। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে। কার্যকর হওয়ার পর ওই অঞ্চলে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। তাছাড়া ইসরায়েলের এমন আচরণ ফিলিস্তিনের সার্বোভৌমত্বকেও খর্ব করবে।

গাবি আসকেনাজি বলেন, দখল পরিকল্পনাকে ঘিরে ইউরোপের কূটনৈতিকরা নানাভাবে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছেন। যদি তা কার্যকর হয় তাহলে শাস্তিস্বরূপ তারা এখানে আসা বন্ধ করে দিতে পারেন। যা ভবিষ্যৎ ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য মোটেও ইতিবাচক কিছু নয়। তাছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তাদের স্কলারশিপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে করে ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে থাকবে।

পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করেছেন নেতানিয়াহু

তিনি বলেন, আমার মতে, কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে অবশ্যই রাজনৈতিক, বৈধতা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনা করে ইসরায়েলি সরকারকে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ।

ইসরায়েলি সরকারকে সাবধান করে তিনি বলেন, দখল পরিকল্পনাকে ঘিরে ইউরোপ ও জর্ডানের সঙ্গে যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমেই মেরামত করা সম্ভব। তাই ইসরায়েলি সরকারকে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ জুলাই পশ্চিম তীর দখল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ক আলোচনা চলছে। যার কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিলম্ব হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় দখল কার্যক্রমের দিকে এগোতে পারছে না ইসরায়েল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, আরব লীগ ও অন্যান্য কিছু দেশ এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিনিরাও সবুজ সংকেত দিতে সময়ক্ষেপণ করছে।