ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তিন দেশ

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে মিশর, জার্মানি ও জর্ডান। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সঙ্কট সমাধানে দুই পক্ষের আলোচনা ছাড়া আর কোনো কিছুই কার্যকর হতে পারে না।

দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন ফিলিস্তিনিরা

আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার এই তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পশ্চিম তীরের চলমান অস্থিরতা নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই পক্ষের ফলদায়ক আলোচনাই একমাত্র সমাধান হতে পারে বলে একমত হয়েছেন তারা। আর সেই আলোচনা (ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে) আয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত এই তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

ভিডিও কনফারেন্সের পর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, ১৯৬৭ সালের চুক্তির বাইরে যেকোনো দখল কার্যক্রমকেই আমরা অবৈধ হিসেবে গণ্য করবো এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবেই পরিগণিত হবে।

পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করেছেন নেতানিয়াহু

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীরে দুই পক্ষের সীমানা চুক্তির বাইরে কোনো পরিবর্তনকে আমরা মেনে নিবো না। যদি কেউ পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা চরম ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। যা শান্তি স্থাপনের সুদীর্ঘ প্রচেষ্টাকে মুহূর্তে ধূলিসাৎ করে দেবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ জুলাই পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা হলেও তা কার্যকর হয়নি। তিনি সেদিন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন থাকায় তারা এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেননি। মার্কিনিরা সবুজ সংকেত দিলেই তারা কাজে নেমে যাবেন।

যদি এই পদক্ষেপে ইসরায়েল কার্যকর হয় তাহলে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন অঞ্চল ও জর্ডান ভ্যালির ৩০ শতাংশ জায়গা তাদের দখলে চলে যাবে।