২০ সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ ২০ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যুক্তরাজ্য। যার কারণে ওই ২০ জন দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ব্যবসা, ব্যাংকে লেনদেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লাভের অংশ থেকে বঞ্চিত হবেন তারা।

জামাল খাসোগি

ফাইভ পিলারের বরাতে জানা যায়, মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের জন্য ৪৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। জামাল খাসোগি হত্যায় জড়িতদের পাশাপাশি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত দুই সেনা কর্মকর্তার ওপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

সৌদি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর যুক্তরাজ্য জানায়, খাসোগি হত্যাকাণ্ডে এই কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন, বা হত্যার পরিকল্পনা করেছেন বা প্রমাণাদি মুছে দিতে ভূমিকা পালন করেছেন।

যে ২০ জন কর্মকর্তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে তারা সবাই দেশটির বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে কাজ করেছেন বা বর্তমানে করছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন-  

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ হাসান মোহাম্মদ আল আসিরি, সৌদি রয়াল কোর্টে মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি এবং ক্রাউন প্রিন্সের কার্যালয়ে কাজ করা সাবেক মেজর জেনারেল মানসুর ওথমেন এম আবাহুসেইন।

এ ছাড়া রয়েছেন, সৌদি ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট, বৈদেশিক গোয়েন্দা নাইফ হাসান এস আলারিফি। তিনিও ক্রাউন প্রিন্সের অফিসে কাজ করেছেন। বিন সালমানের সাবেক প্রধান দেহরক্ষী আবুলআজিজ মোহাম্মদ আল হাওয়ায়ি। দেশটির সাবেক গোয়েন্দা ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফা মোহাম্মদ আল মাদানি এবং ক্রাউন প্রিন্সের কার্যালয়ের আরেক কর্মকর্তা ও সৌদি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষক সাইফ সাদ কিউ আলকাহতানি।

অন্যদিকে, রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য।

এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব বলেন, আমরা ৪৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। তাদের সবার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যুক্তিযুক্ত প্রমাণ আছে।

তবে সৌদি প্রশাসন থেকে এ সম্পর্কিত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।