মাশুল গুনছে ইরান

চলতি বছরের শুরুর দিতে চীনের পর ইরানই ছিল করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ নামতে শুরু করে, তবে চীনের মতো শূন্যতে নামেনি। ইরানের সরকার সংক্রমণের কমতি অবস্থা দেখে সবকিছু খুলে দেয়। মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করে। অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ সব খুলে দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আসে দেশটি। এভাবে লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘটনাই কাল হয়েছে ইরানের জন্য। ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ।

ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল হওয়া ছাড়া বিধিনিষেধ তুলে নিলে কিংবা শিথিল করলে করোনার সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতে পারে, এমন সতর্ক বাণী উচ্চারণ করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে। কিন্তু বেশ কিছু দেশই অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে সেই নির্দেশনা পালন করতে পারেনি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানে নতুন করে বাড়ছে সংক্রমণ।

একসময় ইরানে প্রতিদিন কমবেশি ৩ হাজার মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। তারপর সেটা কমতে কমতে নেমে আসে ১ হাজারের নিচে। এই অবস্থাটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ইরান আবার শীর্ষ আক্রান্ত দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। মোট সংক্রমণের সংখ্যায় সৌদি আরবের পরেই দেশটির অবস্থান। সংক্রমণের চেয়ে মৃত্যু আরো দ্রুত বাড়ছে ইরানে। গত ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২২১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

ইরানে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৩ জন। প্রাণহানি হয়েছে ১২ হাজার ৮২৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৩ জন। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।