চেংদু ছাড়লেন মার্কিন কূটনীতিকরা

পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এর মধ্যেই চীনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চেংদু শহরে থাকা কনস্যুলেট ছেড়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। বেইজিংয়ের নির্দেশের ডেটলাইন পার হওয়ার আগেই কনস্যুলেট ছাড়তে শুরু করেন তারা। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে থাকা কনস্যুলেট আগেই ছেড়েছেন চীনা কূটনীতিকরা।
শুক্রবারের মধ্যে ওই কনস্যুলেট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ওয়াশিংটন।

চেংদুতে মার্কিন কনস্যুলেট

চীনের নির্দেশনায় বলা হয়, সোমবার সকালের আগেই চেংদুর কনস্যুলেট খালি করতে হবে। সে অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই সেখানকার কর্মীদের ফাইলের বক্স এবং আবর্জনার স্তূপ বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

বিবিসি বলছে, এ সময় স্থানীয় লোকজনকে কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে চীনের পতাকা নাড়াতে এবং সেলফি তুলতে দেখা গেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। চীন ওই কনস্যুলেটকে ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ 'চুরি' করছিল বলে অভিযোগ তোলা হয় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।

চেংদুতে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের সময় সেলফি তুলছেন স্থানীয় লোকজন

ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি বলছে, কনস্যুলেট খালি করতে বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময় গত শুক্রবার। এরপর সাংবাদিকদের সামনে মার্কিন ভবনের দরজা ভেঙে তাতে প্রবেশ করেন।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ 'চুরি' করছিল, সে কারণে হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চীনবিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের একটা জগাখিচুড়ি পদক্ষেপ হচ্ছে এই কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত।

মার্কিন প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব হিসেবে চেংদুর কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বেইজিং।

প্রসঙ্গত, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। তার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তাপ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।