সেই ভিয়েতনামে করোনার সংক্রমণ!

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত বিশ্ব। কোনোভাবেই একে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে এই সংকটের মধ্যেও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওইসব দেশকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেই তালিকারই একটি দেশ হলো ভিয়েতনাম।

ভিয়েতনামে নতুন করে করেনার সংক্রমণ

গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে ভাইরাসটির। আস্তে আস্তে তা প্রায় পুরো বিশ্বকে গ্রাস করে। কিন্তু চীন সীমান্তে দাঁড়িয়েও করোনার সংক্রমণ সফলভাবে ঠেকাতে সক্ষম হয় ভিয়েতনাম। তবে সেই ভিয়েতনামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, দেশটিতে নতুন করে আরো চার ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর পরই কর্তৃপক্ষ নতুন করে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, করোনার মহামারি সামলাতে যেসব দেশ সবচেয়ে সফল, তার মধ্যে একটি হলো ভিয়েতনাম। এ পর্যন্ত দেশটিতে চার শ’র একটু বেশি রোগী পাওয়া গেছে। তবে একজনও মারা যায়নি। দীর্ঘ ১০০ দিনে নতুন কোনো রোগীও পাওয়া যায়নি দেশটিতে।

ভিয়েতনামে নতুন করে করেনার সংক্রমণ

তবে সর্বশেষ যে কয়জন শনাক্ত হয়েছেন তারা ঠিক কীভাবে সংক্রমিত হলেন সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানতে পারেনি।

এদিকে, নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দেশটির পর্যটন শহর দানাং থেকে ৮০ হাজার পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যটক। সোমবার ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী চার দিনের তাদের সরিয়ে দেশটির ১১টি শহরে নেওয়া হবে। আর এর জন্য ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি আরো বলছে, গত শনিবার ভিয়েতনাম সরকার এপ্রিলের পর প্রথম স্থানীয় একজনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করে। এর পর গতকাল রোববার আরো তিন জনকে শনাক্ত করা হয়। আর এই চার জনই পর্যটন কেন্দ্র দানাংয়ের বাসিন্দা।