চাপের মুখে সংশোধনী মেনে নিলেন জনসন

দেশে-বিদেশে কড়া সমালোচনা সত্ত্বেও টোরি দলের একাংশের চাপে ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত ভেঙে বিতর্কিত আইনের খসড়ায় সংশোধনী মেনে নিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক্ষেত্রে তিনি যে যুক্তি দিয়েছেন সেটা মেনে না নিয়ে বরং সমালোচনায় অটল রয়েছে বিরোধী পক্ষ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, নিজের দলের মধ্যে থাকা অসন্তোষ দূর করতেই ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত ভেঙে বরিস জনসন আইনের খসড়ায় একটি পরিবর্তন মেনে নিতে রাজি হয়েছেন। তার দলের দুই সংসদ সদস্যের উদ্যোগে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে সংসদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলছেন, এমনটা হলে বিতর্কিত আইন প্রণয়নের পথে বাধা দূর হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, সংশোধনীর উদ্যোক্তা দুই সাংসদ বব নেইল ও ডেমিয়ান গ্রিন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে সরকার শেষ উপায় হিসেবে ব্রেক্সিট চুক্তিতে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পাবে।

ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত হলো- ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার যুক্তরাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশে শুল্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন নিয়ম চালু করতে পারবে। আর স্বেচ্ছায় সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেই। কিন্তু তিনি এখন সেই ধারা বাতিল করে দেশের অখণ্ডতার স্বার্থে এক সেফটি নেট নিশ্চিত করতে চান।

সংসদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

এমনটা করলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হবে। তার পরও তিনি নিজের অবস্থানে অটল আছেন। সংশোধনীর মাধ্যমে উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের সঙ্গে ইইউর স্থলসীমায় চেকপয়েন্ট বা নিয়ন্ত্রণের আশঙ্কা দূর করা হলে মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মনে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না বলে আশা করছেন বরিস জনসন।

তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড এক টুইট বার্তায় বলছেন, এমন রদবদল হলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হবে। আর তাতে ব্রিটেনের ভাবমূর্তির ক্ষতি এড়ানো যাবে না। তাছাড়া এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবার পর সরকার ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটি পালন করা জরুরি।