সিরিয়ায় ফের সেনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে যুদ্ধবিধস্ত সিরিয়ায় ফের অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। অথচ কিছু দিন আগে দেশটি থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের টহল

তবে সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে রুশ সেনাদের বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। এমনই প্রেক্ষাপটে সিরিয়ায় নতুন করে সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো মার্কিন প্রশাসন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতিরিক্ত ছয়টি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ট্যাংক এবং শতাধিক সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ায় মার্কিন ও রুশ যানের সংঘর্ষ হয় আগস্টের শেষ দিকে

খবরে বলা হয়েছে, ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের এক মুখপাত্র গতকাল শুক্রবার বলেন, সিরিয়ায় সেনা সদস্য বাড়ানো হলেও মার্কিন বাহিনী অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই যৌথ বাহিনীকে সুরক্ষা দেবে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন বাহিনী ও রুশ বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিয়মিত টহল দেয়। টহল চলাকালে চলতি বছর উভয় দেশের বাহিনী বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছে। এতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত আগস্টের শেষ দিকে মার্কিন সেনাদের একটি দল রাশিয়ার একটি সাঁজোয়া যানের মুখোমুখি হয়। এ সময় সাত মার্কিন সেনা আহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একে অপরকে দায়ী করে আসছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে প্রায় ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে। সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উদ্ভব হলে তাদের দমনের নামে ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা করার প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠে। এমনকি আইএস সৃষ্টির পেছনেও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সরাসরি সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। সেইসঙ্গে আসাদের পক্ষে সমর্থন যুগিয়ে আসছে ইরানও।