ব্রিটেনকে ইইউ: ব্রেক্সিট নিয়ে খেলা বন্ধ করুন

ব্রেক্সিট প্রত্যাহারের চুক্তি সম্পর্কে আগামী সপ্তাহে এক জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইইউ এবং ব্রিটিশ কর্মকর্তারা, যা লন্ডনের এই চুক্তির অংশগুলোকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টার দ্বারা হুমকির মুখে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন জার্মানির ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল রথ।

আগামী বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে আজ ব্রাসেলসে সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, লন্ডনের প্রিয় বন্ধুরা, দয়া করে আপনাদের খেলা বন্ধ করুন। সময় শেষ হচ্ছে।

ইইউ কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিচ বলেছেন, তিনি সোমবার ব্রাসেলসে সিনিয়র ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশেল গভের সঙ্গে দেখা করবেন। মূলত লন্ডনের পক্ষে চুক্তির পুনর্লিখনের জন্য তৈরি করা বিলটি বাতিল করারই এ সাক্ষাতের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার এই চুক্তির অংশগুলোকে অগ্রাহ্য করার জন্য তৈরি আইন নিয়ে এগিয়ে চলেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বলে স্বীকারও করেছে। আর ব্রাসেলস এই চুক্তিটিকে রক্ষা করছে।

'তথাকথিত অভ্যন্তরীণ বাজার বিল অত্যন্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ এটি প্রত্যাহারের চুক্তির দিক-নির্দেশক নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এবং এটি আমাদের পক্ষে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, যোগ করেন জার্মানির ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী।

মারোস সেফকোভিচ বলছেন, তিনি বিচ্ছেদের চুক্তির তদারকির জন্য ইইউ-যুক্তরাজ্যের যৌথ সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সভাপতি মিশেল গভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে পুনর্বিবেচনা করবো না, আমরা এর পূর্ণ এবং সময়োপযোগী প্রয়োগের জন্য নিবেদিত আছি, বেশিও না আবার কমও না।

বিদ্যমান চুক্তির সঙ্গে মতবিরোধের সমান্তরালে, যা জনসন গত বছর স্বাক্ষর করেছিলেন এবং ব্রিটেনকে ইউরোপ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য 'ওভেন-রেডি' চুক্তির প্রশংসা করেছিলেন। তাই ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের দলগুলো একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, ইইউ নেতারা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এই আলোচনার অগ্রগতির বিষয়ে একটি 'পয়েন্ট অব ইনফরমেশন' পাবেন। তবে এই মুহূর্তের জন্য তাদের আলোচক মিশেল বার্নিয়ারের হাতে দীর্ঘ বিতর্ক ছেড়ে দিয়েছে।

আগামী ২ অক্টোবর ব্রাসেলসে বাণিজ্য আলোচনার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে। আর জনসন সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এবং ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন যে, বছরের শেষ নাগাদ আইনটি পাস করতে গেলে চুক্তিটি মাসের শেষে করা উচিত।

ব্রিটেন চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করেছে। বছরের শেষ দিকে একক বাজার এবং শুল্ক ইউনিয়নও ছেড়ে চলে যাবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন যে, ততক্ষণে নতুন কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হলে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।