বরিস জনসনকে সতর্ক করলেন উপদেষ্টারা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে তার উপদেষ্টারা দেশটির চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে, সেজন্য বিধিনিষেধ অধিকতর কঠোর করা দরকার। দেশটিতে গত মে মাসের পর এই প্রথম গতকাল মঙ্গলবার যখন একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন, তখন এ ধরনের সতর্কতা দিলেন জনসনের উপদেষ্টারা।

বরিস জনসন

দেশটির গণমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, উপদেষ্টারা বলছেন, আগামী অন্তত তিন মাস প্রতিদিন দেশটিতে কয়েক শ করে মানুষের মৃত্যু হতে পারে করোনায়। কারণ ব্রিটেনে ভয়ংকর এই ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসন সরকারের ওপর আরো কঠোর লকডাউন আরোপের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটেনে মারা গেছেন ৩৬৭ জন করোনা রোগী। যা গত মে মাসের পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। সেইসঙ্গে গতকাল কমপক্ষে ২৩ হাজার মানুষকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি

তবে উপদেষ্টাদের সতর্কতার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে শীতকালে আরো বেশি মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। তবে ব্রিটেনে সর্বশেষ যে মৃতের সংখ্যা- তাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন সরকারের এক মুখপাত্র।

দেশটির আরেকটি গণমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ বলছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স ও অন্য বিশেষজ্ঞরা ব্রিটেনে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।

উদ্বেগ জানিয়ে তারা বলেছেন, বর্তমানে যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী অন্তত তিন মাস। ফলে প্রতিদিন কয়েক শ করে মানুষ মারা যেতে পারে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি গিয়ে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তথা টায়ার-৩ এর অধীনে আনার প্রয়োজন হতে পারে।

ব্রিটেনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে দেশটির ওয়ারিংটন, লিভারপুল সিটি রিজিয়ন, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং সাউথ ইয়র্কশায়ারকে টায়ার-৩ এর আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে এ তালিকায় যুক্ত হবে নটিংহ্যাম।