ট্রাম্পের ১২ শর্তের একটিও মানেনি ইরান

নতুন করে আলোচনায় বসার জন্য ইরানকে ১২টি শর্ত দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর একটিও এখন পর্যন্ত পূরণ করেনি দেশটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মরফি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি

ট্রাম্পের ইরান নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিতে শর্তারোপ করার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তা আমলেই নেয়নি তেহরান।

এক টুইট বার্তায় ক্রিস মরফি বলেন, শর্তারোপ করে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু তাতে ইরানি নেতারা সাড়া না দেয়ায় শর্তগুলো অধরাই রয়ে গেছে।

পার্সটুডের খবরে বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আসলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতি-গোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা সই হয়। তা থেকে ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে তেহরানের ওপর ফের কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প।

মার্কিন সিনেটর ক্রিস মারফি

ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসার আগ্রহ জানিয়ে ১২টি শর্ত দেয় ট্রম্প প্রশাসন। তারা আশা করেছিলেন, এসব শর্ত মেনে আলোচনায় বসবে ইরান।

এর জবাবে চাপের মুখে আলোচনায় না বসার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তেহরান জানায়, পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্র না ফেরা পর্যন্ত আলোচনায় বসবে না তারা।

শর্তগুলোর মধ্যে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে সমর্থন বন্ধ করার মতো বিষয় ছিল।