আপনি পড়ছেন

সৌদি আরব গিয়ে দেশটির বাদশাহ সালমানের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। খোদ ইসরায়েলি এক মন্ত্রী বিষয়টি সামনে এনেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই বিশ্ব গণমাধ্যমের পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইনে চলছে নানা বিতর্ক।

saudi prince and netanyahuসৌদি যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান এবং নেতানিয়াহু, ছবি-ইসরায়েলের টিভি৭

এই বিতর্কের কারণ হলো- সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিন ইস্যুতে বরাবরই সোচ্চার সৌদি আরব।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কথিত শান্তি চুক্তি তথা সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। পরে ট্রাম্প বলেন, আরো বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি করতে যাচ্ছে।

mike pompeo and netanyahuমাইক পম্পেও এবং নেতানিয়াহু (সামনে)

তখন থেকেই ঘুরে ফিরে সৌদি আরবের নাম আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। কিন্তু শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি খেলছে রিয়াদ। অথচ তারা ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আমিরাত কিংবা বাহরাইন বা অন্য দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি করাতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন বলেও খবর চাউর হয়েছে।

যাইহোক, বরাবরের মতো সর্বশেষ গোপন বৈঠকের বিষয়টিও অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো একে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও তথ্য বলছে, ওই দিন ইসরায়েল থেকে একটি বিমান সৌদি আরব গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর ফেরত এসেছে।

গত সোমবার হঠাৎ করেই ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী ইউয়াভ গালান্ট গণমাধ্যমকে জানান, রোববার নেতানিয়াহু সৌদি আরবে গিয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাদশাহ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পাশাপাশি কাতারেরও কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এর তীব্র সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন।

এই যখন অবস্থা তখন নেতানিয়াহুর সৌদি আরব সফর নতুন করে বিতর্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

সৌদি আরব অবশ্য নেতানিয়াহুর সফরের কথা অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান জানিয়েছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রীর দাবি সর্বৈব মিথ্যাচার। সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখানে ইসরায়েলের কেউ ছিল না। এমনকি নেতানিয়াহু নিজেও বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি।

ডয়চে ভেলে বলছে, গণমাধ্যমের হাতে একটি ডিটেল এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, রোববার গ্রিনিচ সময় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে গালফস্ট্রিম চারের একটি প্রাইভেট জেট ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব থেকে উড়াল দিয়ে সাড়ে ৬টায় সৌদি আরবে পৌঁছে। এর পর জেটটি গ্রিনিচ সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে সৌদি থেকে উড়াল দিয়ে আবার ইসরায়েলে চলে আসে। বিমানটি সৌদি আরবের যে শহরে অবতরণ করেছিল সেখানেই ছিলেন সৌদি বাদশাহ এবং সেখানেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকও হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক পম্পেও যখন সৌদি আরবের ওই শহরে পৌঁছান তখন গণমাধ্যমকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। এমনকি সৌদি বাদশাহর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যেখানে বৈঠক হয়, সে এলাকায় কোনো সাংবাদিককে যেতে দেওয়া হয়নি। এতে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা আরো কয়েক গুন বেড়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.