বিশ্বের ১৩টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা তথা নতুন ভিসা ইস্যু না করার কথা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মধ্যে ১২টিই মুসলিম প্রধান দেশ। একমাত্র অমুসলিম দেশ হলো কেনিয়া।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিজনেস পার্কের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে, গত ১৮ নভেম্বর থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা টেলিভিশন।
আমিরাতি ভিসা
খবরে বলা হয়েছে, যেসব দেশ আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সেগুলো হলো- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও ইয়েমেন।
সংযুক্ত আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত এসব দেশের লোকজন কর্মসংস্থান কিংবা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাত সরকার দেশটির ইমিগ্রেশন অথরিটির কাছে এ ব্যাপারে যে পরিপত্র জারি করেছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি যে, নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোনো দেশের জন্য কোনো রকম ছাড় আছে কি না।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে আমিরাত সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দেশটির সরকার কী ধরনের ঝুঁকি অনুভব করছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ওই সূত্র।
অবশ্য সূত্রটি আশা করছে, অল্প সময় পরই আমিরাত সরকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে জানায় যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কেন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এও জানিয়েছে, যেসব পাক নাগরিক আগে থেকেই আমিরাতের ভিসাধারী তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হবে না।