আফগানিস্তানে হত্যাযজ্ঞ: তোপের মুখে অস্ট্রেলিয়ার ১৩ সেনা

অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স ১৩ জন অস্ট্রেলিয়ান সেনাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। আফগানিস্তানে সাধারণ নাগরিক ও হাজতিদের হত্যা করা, হত্যার উপকরণ হওয়া বা হত্যার সময় উপস্থিত থাকা ও এ বিষয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগে তারা বরখাস্ত হতে পারেন। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তারা দুই সপ্তাহ সময় পাবেন।

গত সপ্তাহে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সামনে আসে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আর্মি কমান্ডার ক্ষমা প্রার্থনা করেছন। আফগানিস্তান এই ঘটনাকে ক্ষমার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে, এবং একই সাথে গত সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদন কে স্বাগত জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে কী বলা হয়েছে?

সেনাদের মধ্যে “যোদ্ধা সংস্কৃতি” কারণে কয়েকজন সেনা সাধারণ নাগরিক, হাজতি ও কৃষকদের হত্যায় জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন। তবে মোট ৩৬টি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান জেনালের আংগুস ক্যাম্পবেল বলেছেন, যে ঘটনাগুলোতে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, সেগুলোকে যুদ্ধের কারণে উত্তপ্ত ঘটনা বলার সুযোগ নেই।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, অনেকটা মজার ছলে হাজতে থাকা আফগান নাগরিকদের হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন এই সেনারা। জুনিয়র সেনাদের দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়, এবং ঘটনার পর মরদেহের পাশে অস্ত্র রেখে দেওয়া হয়, যাতে ঘটনাকে হাজতিদের কোন্দল বলে চালানো যায়।

এখন কী হবে?

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী নিয়োগ দেওয়া হবে।

তবে পুলিশের তদন্তে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষক দল গঠন করবেন যারা পুরো বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা পর্যবেক্ষণ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রপক্ষের সঙ্গে আফগানিস্তানে শান্তিরক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া অন্তত ৪০০ সেনাকে নিযুক্ত রাখে।