করোনাভাইরাস: নতুন বছরের আগে নাজেহাল সিডনি

নতুন বছর বরণের উৎসব সম্ভবত ঘরে বসেই সারতে হবে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনির বাসিন্দাদের। করোনাভাইরাসের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে গেছে এই অঞ্চলে। ফলে নতুন বছরের আসার ঠিক আগে সেখানে আরোপ করা হয়েছে নতুন রকম কড়াকড়ি।

সিডনিতে বেশ কয়েক মাস করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্তের হার ছিলো শূন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই অঞ্চলটির সৈকত অঞ্চল থেকে নতুন করে ভাইরাসটি ছড়াতে থাকে। সর্বশেষ খবর মতে, বুধবার সিডনিতে ১৪৭জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ক্রিসমাস ডেতে সিডনির ব্রোন্টে সৈকতে প্রচুর লোক পার্টি করেন, এবং এরপরই শহরটিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পার্টিতে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন এবং সেখান থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।

এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালেক্স হওকে বলেছেন, যে সব পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণ করেছেন, তাদেরকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

সিডনির ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার নতুন বছরের আগে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেন, “নতুন বছরের উৎসব ভাইরাস ছড়ানোর উৎসবে পরিণত হোক, তা আমরা চাই না।”

বৃহস্পতিবার থেকে বাসাবাড়িতে সর্বোচ্চ পাঁচজন অতিথি প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এতোদিন এই সীমা ১০জন ছিলো। বাড়ির বাইরের কোনো আয়োজনে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ করতে পারবেন ৩০ জন।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য অঞ্চল ও রাজ্যে সিডনি থেকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

এতো কিছুর পরও সিডনিতে নতুন বছরের আতশবাজি উৎসব ঠিকই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অঞ্চলটির সরকার, কিন্তু এটিকে কেন্দ্র করে সেখানে বেশি মানুষের সমাগম হওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার লোক এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৯০৯ জন। পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ছিলো।