ফিলিস্তিনে টিকা সরবরাহ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান

ইসরায়েলকে দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার এ আহ্বান জানায় মানবাধিকার সংগঠনটি। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তেল আবিবের এটি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলেও স্মরণ করে দেয় তারা।

ফিলিস্তিনে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। কিন্তু তাদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে অনুরোধ জানায়নি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)।

এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনি বাস করেন। সেখানকার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী হামাসও ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সমন্বয় নাও করতে পারে। এমন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে।

তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি বলছে যে, ইসরায়েলকে দখলকারী শক্তি হিসেবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা উপেক্ষা করা বন্ধ করতে হবে। তাদের উচিত অবিলম্বে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের মাঝে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সমান ও ন্যায্যভাবে সরবরাহ করা।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) জানিয়েছে, পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের জাতিসংঘের সহায়তায় পরিচালিত কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের আওতায় ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের আওতায় আগামী মাসের প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করবে বলে আশা করছে।

ইসরায়েল গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম তীরে বসবাসরত ইসরায়েলি নাগরিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারিতে কাজ করা কোভিড যোদ্ধারা।