দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর চীনে একদিনে সর্বোচ্চ করোনায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ের চতুর্দিকে থাকা হেবেই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে এবং রাজ্যটিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউনসহ নানা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
পাঁচ মাসে চীনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, লকডাউন-কড়াকড়ি
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হেইলংঝিয়াং প্রদেশের একটি কাউন্টিতে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় সোমবার লকডাউন জারি করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচসি) জানিয়েছে, গতকাল রোববার (১০ জুন) দেশটিতে স্থানীয়ভাবে ৮৫ জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ জনই উল্লিখিত হেবেই প্রদেশর। এ ছাড়া লিয়াওনিং প্রদেশে দুই জন এবং রাজধানী বেইজিংয়ে একজনকে নতুন আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বাইরে বহির্বিশ্ব থেকে আসা ১৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সব মিলিয়ে দেশটিতে ১০৩ জনকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জুলাই চীনে একদিনে সর্বোচ্চ ১২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
চীনের উহানে প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে এভাবেই বন্ধ ছিল দোকান-পাট
রয়টার্স বলছে, চীনে যদিও করোনায় সংক্রমণের হার খুবই কম। তবে তার পরও দেশটির কর্তৃপক্ষ ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেইসঙ্গে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যাতে দেশব্যাপী আরেকটি সংক্রমণের ঢেউ আসতে না পারে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হেবেই প্রদেশের রাজধানী শিঝিয়াঝুয়াংয়ে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। শহরটি থেকে লোকজন ও যানবাহনের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। অন্যদিকে, হেইলংঝিয়াং প্রদেশের ওয়াংকুই কাউন্টিতে লোকজনের চলাচল এবং অপ্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৭ হাজার ৫৩৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের।