ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসার অনুরোধ কাতারের

উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ব্যতিক্রম কাতার। তারা তেহরানের সঙ্গে সবসময় কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যে কারণে কাতারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। তবে আশার কথা হলো, সম্প্রতি সেই সম্পর্ক আবার জোড়া লেগেছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহমান আল-থানি

এবার উপসাগরীয় দেশগুলোকে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসতে অনুরোধ জানিয়েছে কাতার। সোমবার ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহমান আল থানি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দোহার ওপর থেকে তিন বছরের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর আরব প্রতিবেশীদের এমন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ইরানের সঙ্গে একটি বড় গ্যাসক্ষেত্রের অংশীদারিত্বকারী কাতার।

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহমান আল থানি বলেন, আমরা আশাবাদী যে ইরানের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলো আলোচনায় বসবে। এখনো এটা বিশ্বাস করি।

উপসাগরীয় কাউন্সিলের লোগো

অবশ্য সৌদি আরব প্রকাশ্যে ইরানের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে তারা কাতারের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্কে জড়িয়ে বলেছে যে, এই সম্পর্ক ইরানি সরকারের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি দ্বারা উত্থিত হুমকিসমূহ মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।

এ সময় ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায়ে মার্কিন-ইরান সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়েও মন্তব্য করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এই অর্জন করতে চাই, এই চুক্তিটি ঘটতে দেখতে চাই। যেখানেই হোক না কেনো, কেউ যদি আলোচনাটি চালায়, আমরা তাদের সমর্থন করবো।