উত্তর আজিয়ান সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় মঙ্গলবার তুরস্কের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা জাহাজকে উত্যক্ত করেছে গ্রিসের যুদ্ধবিমান। নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, লেমনস দ্বীপের পশ্চিমে তুরস্কের ‘টিসিজি সেসমে’-এর দিকে এসে চারটি গ্রিক যুদ্ধজাহাজের একটি দুই নটিকাল মাইল দূর থেকে ‘চাফ কার্তুজ’ নিক্ষেপ করে।
তুরস্ক-গ্রিসের মধ্যে ফের উত্তেজনা
ঘটনার সময় ‘টিসিজি সেমসে’ হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের কাজে ব্যস্ত ছিল। বার্ষিক সূচি অনুযায়ী ২ মার্চ পর্যন্ত এ অঞ্চলে জাহাজটি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণাকাজ চালানোর কথা।
তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১০০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে থাকা গ্রিক যুদ্ধবিমানগুলোকে প্রয়োজনীয় জবাব দিয়েছে জাহাজটি।
কার্তুজটি কোনো পাইলট নিক্ষেপ করতে পারে অথবা অনবোর্ড সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেও নিক্ষেপ করা হতে পারে।
এ ঘটনায় মন্তব্য করতে গিয়ে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেন, গ্রিসের তরফ থেকে বারবার উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটছে। এটিও সে-রকম একটি ঘটনা। আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে এ ঘটনার প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়েছে।
তুরস্ক-গ্রিসের মধ্যে ফের উত্তেজনা
আকার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের মনোভাব ও সিদ্ধান্ত কী হবে, তা পরিষ্কার। সন্দেহাতীতভাবে আমরা এর প্রতিশোধ নেব।’
তুরস্কের সূত্রগুলো বলেছে, এ বছরের শুরুতে আঙ্কারা ও এথেন্সের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরুর পর থেকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে গ্রিস।
২৫ জানুয়ারি আলোচনা শুরুর পর গ্রিসের ২০টি জাহাজ এবং অনেক এয়ার এলিমেন্টস এ অঞ্চলে সামরিক অনুশীলন পরিচালনা করেছে। স্কাইরস দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায়ও এ তৎপরতা চলে।
গ্রিস এরই মধ্যে বোজবাবা, স্যামোথ্রেইস, লিমনোস, থাসোস, লেসবস, চিয়স, পসারা, আহিকেরিয়া ও সামোস দ্বীপে সামরিক অনুশীলনের ঘোষণা দিয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রিসের এ তৎপরতা উত্তেজনা বাড়িয়ে আলোচনা, সংলাপ ও সমঝোতা এড়িয়ে চলার স্পষ্ট ইঙ্গিত। সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি