তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে শুরু হচ্ছে রেলযোগাযোগ

ইরাকের অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা সুদৃঢ় করতে চায় তুরস্ক। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান তুরস্কের পরিবহন ও অবকাঠামোমন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলুগলু।

তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে রেলযোগাযোগ শুরু হচ্ছে

ইরাকি মন্ত্রী নাসের হুসেইন বন্দরের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে আদিল কারাইসমাইলুগলু বলেন, ‘নতুন একটি স্থল সীমানা ক্রসিং খুলে দিয়ে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ইরাকি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে তুরস্ক বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করতে চায়। দুই মন্ত্রীর মধ্যে মটরওয়ে, রেলওয়ে ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যৌথ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ইরাকি মন্ত্রী বন্দর বলেন, এ ক্ষেত্রগুলোতে পরস্পরকে সহযোগিতায় দুই দেশ আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের বিষয়কে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, দক্ষিণের প্রদেশ বসরার আলফাউ গ্রান্ড পোর্ট থেকে একটি রেলওয়ে লাইন রাজধানী বাগদাদ পর্যন্ত যাবে। এরপর এটি তুর্কি সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এর বেশি কিছু বলেননি বন্দর।

তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে রেলযোগাযোগ শুরু হচ্ছে

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বর্তমানে আমাদের রেলওয়ে যোগাযোগের কাজ চলছে। আমরা তুরস্ক থেকে কিছু বড় কনস্ট্রাকশন মেশিনারি এবং গাড়ি কিনেছি। উত্তর থেকে দক্ষিণে ক্রুড অয়েল পরিবহনের জন্য আমরা তুরস্ক থেকে বড় বড় ট্রাক আমদানি করেছি।’

ইরাক সরকার গত ডিসেম্বরে আলফাউ গ্রান্ড পোর্টের প্রথম ধাপ নির্মাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার দাইউ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন-এর সঙ্গে ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে।

সুয়েজ খালকে বাইপাস করে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের মধ্যে নাতিদীর্ঘ করিডোর নির্মাণের আশায় ইরাক যে প্রকল্পগুলো হাতে নিচ্ছে, তার মধ্যে এটিও একটি।

এখন মালবাহী জাহাজগুলোকে রিসিভ করতে ইরাককে মূলত দক্ষিণের উম-কাসর বন্দরের ওপর নির্ভর করতে হয়, যা কৌশলগত উপসাগরীয় জলপথের শীর্ষবিন্দুতে অবস্থিত। ফাউ বন্দর আরও গভীর হলে বড় কন্টেইনার জাহাজগুলো সেখানে ভিড়তে পারবে।

তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে হাবুর সীমান্ত গেইট ব্যবহৃত হয়। রেল যোগাযোগ শুরু হলে দুই দেশের বাণিজ্যে গতি বাড়বে। বন্দর বলেন, তুরস্কের সহায়তায় ইরাকের বিমান চলাচল সমস্যার সমাধানও হবে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ