আপনি পড়ছেন

ট্রাম্প আমলে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) অতিরিক্ত খাতির পেতেন হোয়াইট হাউসে। রাষ্ট্রপ্রধান না হলেও ট্রাম্পের দরবারে তিনি রাজার মতোই সম্মান পেতেন। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে পথে হাঁটার লোক নন। ক্রাউন প্রিন্সকে বাদশাহর মর্যাদা দিতে রাজি নন তিনি। তাই, কোনো ইস্যুতে বিন সালমান নয়, সরাসরি বাদশাহর সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী বাইডেন।

king salman and bidenসৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পুরনো ছবি

সম্প্রতি হোয়াইট হাউস এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তারা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে। সম্ভবত সেটির প্রথম পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে, ক্রাউন প্রিন্সকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবেই মূল্যায়ন করা হবে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কোনো ইস্যুতে আর এমবিএসের ডাক পড়বে না হোয়াইট হাউসে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি অনেকটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সুরেই বলেছেন, প্রেসিডেন্টের কাউন্টারপার্ট (সমপর্যায়ের ব্যক্তি) হচ্ছে বাদশাহ সালমান এবং আমি আশা করি, উপযুক্ত সময়ে তিনি তার সঙ্গে কথা বলবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এ দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক থাকলে এমবিএসকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

বাইডেন নির্বাচনী প্রচারণায় যেসব কথা বলেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বিন সালমানের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত। ট্রাম্পের পথে না হাঁটার কথা বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিয়মতান্ত্রিক হবেন।

এমবিএস ও তার মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যকে শক্তিশালী রাজ-শাসনের মধ্যে রেখেই পশ্চিমা ধাঁচে গড়ে তুলতে চাচ্ছে। যেখানে একক আধিপত্য থাকবে আরব শেখদের। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা স্থানীয় আরবি ভাষাকে এড়িয়ে জায়গা করে দিচ্ছেন ইংরেজিকে। সৌদি সরকারের যে নতুন পরিবেশবান্ধব মেগাসিটির কাজ শুরু হয়েছে, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য লাইন’।

এমবিএসের ওপর নেতিবাচক মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান কারণ সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা। মার্কিন গোপন প্রতিবেদনে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ড তার নির্দেশে হয়েছে বলে উঠে এসেছে।

bin salman and trumpসৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পুরনো ছবি

তাছাড়া, অনেক নারীসহ বিপুল অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটিতে। অভিযোগ রয়েছে, এসব নারীকে কারাগারে ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

শুরু থেকেই ইয়েমেন যুদ্ধে এমবিএসকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। ডোনাল্ড ট্রাাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে এমবিএসের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সৌদি আরব ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহযোগিতা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।

কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। বাইডেন বিশ্বকে দেখাতে চান, তিনি ট্রাম্পের মতো অদ্ভুত নীতিতে চলবেন না। যুবরাজকে পাত্তা না দিয়ে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে সব ব্যাপারে বাদশাহর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবেন।

বাইডেন যে পুরোপুরি এমবিএসকে এড়িয়ে চলতে পারবেন সেটিও স্পষ্ট করে বলার সুযোগ নেই। আবার সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো কয়েক বছরের মধ্যেই বিন সালমানকে বাদশাহর গদিতে দেখা যেতে পারে। বাইডেনকে তখন ঠিকই তার উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা পাঠতে হবে।

আপাতত, প্রটোকলের বাইরে এমবিএসকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.