নির্বাচনে ইসরায়েলের ‘নগ্ন হস্তক্ষেপ’, সতর্ক করল হামাস

ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, ফাইল ছবি

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে হামাস নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দখলদার ইসরায়েলের ‘নগ্ন হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েল হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য সবসময় হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনে এ বছরের ২২ মে পার্লামেন্ট নির্বাচন, ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ৩১ আগস্ট ন্যাশনাল কাউন্সিল নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।

তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, হামাসকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরে অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে (পশ্চিম তীর) তল্লাশি চালিয়ে দলটির নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। অনেক নেতাকর্মীকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হুমকি দিয়ে বলছে, তারা যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাহলে কারাগারে যেতে হবে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিনিয়ত নানা জুলুম-নির্যাতন চালায় ইসরায়েলি বাহিনী

হামাস নেতারা এ হস্তক্ষেপ বন্ধে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ন্যাশনাল ফোর্স এবং জেরুজালেমবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রার্থী ও ভোটার হিসেবে সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

নির্বাচনী তফসিলের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রয়েছে জানিয়ে এ প্রতিরোধ আন্দোলন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন। তারা বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ফিলিস্তিনকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।

জাতীয় ঐক্যের প্রতি আনুগত্য এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিভাজন দূর করার ওপর গুরুত্ব দেন হামাস নেতারা।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।