আপনি পড়ছেন

পূর্ব সিরিয়ায় পরিচালিত বিমান হামলায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সমালোচনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।

joe biden and donald trumpডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলার জবাবে পূর্ব সিরিয়ায় ইরানি মদতপুষ্ট মিলিশিয়াদের ব্যবহার করা ফ্যাসিলিটিতে বৃহস্পতিবার ‘পরিমিত’ হামলা করেছে তারা।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বিমান হামলা ছিল ‘সুচিন্তিত’ এবং পূর্ব সিরিয়া ও ইরাক উভয় স্থানের সার্বিক উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে এ হামলা চালানো হয়।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ব্যবধানটা পরিষ্কার করার একটা প্রচেষ্টা ছিল নতুন প্রশাসনের তরফে। মনে করা হয়েছিল, ইরাকে মিত্রবাহিনীর ওপর হামলার জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কৌশল নিয়েছিলেন, বাইডেন সেই আঙ্গিকে প্রতিশোধ নেবেন না।

ধারণা করা হয়েছিল, ‘সফট পাওয়ার’ ব্যবহার করে বাইডেন উদারনীতি অবলম্বন করবেন। ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর দেশটির গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যে যে বড় আঘাত লেগেছে, উদারনীতির মাধ্যমে তাতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সাম্প্রতিক বিশ্ব রাজনীতিতে বাইডেনের কিছু পদক্ষেপে এর আভাসও মিলছিল।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক সাইয়েদ মোহাম্মদ মারানদি বললেন, ‘পূর্ব সিরিয়ায় হামলার মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে কোনো ফারাক্ব নেই, দুজন একই।’

রাশিয়া এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘অবৈধ’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছে। এর ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি ছাড়াও এ অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তার দলের এক সাংসদও।

us air stike syriaমার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৭ জনের প্রাণহানিতে ব্যাপক সমালোচনা মধ্যপ্রাচ্যে

পার্সটুডের খবরে বলা হয়, ইরবিলে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে সম্প্রতি যে রকেট হামলা হয়েছে, তা ইরান-সমর্থিত ইরাকি গোষ্ঠীগুলোর কাজ বলে মার্কিন সরকার দাবি করে এবং এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিল ওয়াশিংটন। অথচ, ইরান ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছিল এবং ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি অব্যাহত রাখার অজুহাত তৈরি করতেই সন্দেহজনক ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে তেহরান উল্লেখ করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরাক ও সিরিয়ায় আবারও সন্ত্রাস-বান্ধব ও অশান্তি বিস্তার জোরদারের নীতি গ্রহণ করেছেন। গত বছরের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস ব্রিগেডের তৎকালীন প্রধান জেনারেল কাসেম সুলায়মানি নিহত হলে ইরাকি সংসদ সেদেশ থেকে সব মার্কিন সেনা বের করার আইন পাস করে। কিন্তু মার্কিন সরকার এ আইন উপেক্ষা করে ইরাকে এখনও আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।

সিরিয়ার ইরাক-সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকেও সহায়তা দিতে চাচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত। কারণ, ইসরায়েলও প্রায়ই সিরিয়ার নানা অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

বাইডেনের সিরিয়া ও ইরাক-নীতি থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার কেন্দ্রে ব্যক্তি বদল হলেও দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন ঘটেনি।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.