ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ তিন বছরের জেল দিয়েছে দেশটির আদালত। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
খাশোগির বিরুদ্ধ একজন বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ওই বিচারককে তিনি সারকোজির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তথ্যের বিনিময়ে ভালো চাকরির প্রলোভনও দেখিয়েছিলেন।
সারকোজিই প্রথম ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট যাকে জেলে থাকার শাস্তি দেওয়া হলো।
সেই বিচারক ও সারকোজির সাবেক আইনজীবীকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার তিনজনই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
প্যারিসের এক বিচারক রায়ে বলেছেন, সারকোজি চাইলে এই শাস্তি তার বাড়িতেই ভোগ করতে পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে তার শরীরে একটি ইলেকট্রিক চিপ বসিয়ে দেওয়া হবে। অথবা তাকে জেলে যেতে হবে।
বিচারক বলেছেন যে, এই রক্ষণশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি জানতেন যে তিনি যা করছেন তা ছিলো আইনবহির্ভূত কাজ। তিনি আরো বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট যা করেছেন তা জনগণের কাছে অত্যন্ত ভুল একটি বার্তা দিয়েছে।
যুদ্ধ-পরবর্তী ফ্রান্সে এই বিচারটি একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার।
সারকোজির বিরুদ্ধে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ অন্তত চার বছরের শাস্তির আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু বিচারক শেষ পর্যন্ত দুই বছরের স্থগিত শাস্তিসহ তিন বছরের শাস্তি দেন।