চীনের হামলায় অন্ধকার মুম্বাই!

গত ১২ অক্টোবর হঠাৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল ভারতের মুম্বাই। প্রথমে বলা হয়েছিল, গ্রিড ফেইলিওর। কিন্তু মার্কিন বিশেষজ্ঞ সংস্থা ‘রেকর্ডেড ফিউচার’-এর দাবি, চীনের মদতপুষ্ট সাইবার হামলার ফলে মুম্বাইয়ের ওই অবস্থা হয়েছিল। সাইবার হামলার কারণেই গ্রিড ফেইলিওর হয়। নিউইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে রিপোর্ট করার পর বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়।

চীনের হামলায় অন্ধকার মুম্বাই!

এ প্রতিবেদনের পর হইচই শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ফ্রাঙ্ক পালোনে বলেছেন, বাইডেনের উচিত চীনের আচরণের নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়ানো। অভিযোগ হলো, এটা বেসরকারি সাইবার হানা নয়। এর পেছনে একটি রাষ্ট্রের হাত আছে। এটাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।

ফ্রাঙ্ক পালোনের এ বক্তব্যের সূত্র ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্ততরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্রের ওপর সাইবার হামলা চালাচ্ছে, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা থামানোর চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বন্ধু দেশগুলি যাতে সাইবার হামলার শিকার না হয়, এজন্য কাজ শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েও লাভ হয়নি। তারা এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নীতিন রাউত জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ঠিক। একটি তিন সদস্যের কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

চীনের হামলায় অন্ধকার মুম্বাই!

মার্কিন সংস্থা ‘রেকর্ডেড ফিউচার’-এর মুখপাত্র দ্য হিন্দু পত্রিকাকে জানিয়েছেন, তথ্য বলছে, এখনও হামলার চেষ্টা চলছে। তবে আগে যে হামলা হচ্ছিল, তা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে প্রায় শেষ হয়ে গেছে। মুখপাত্র বলেছেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়নি। তবে রিপোর্ট প্রকাশের আগে হয়েছিল। সব টেকনিক্যাল তথ্য ভারত সরকারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তারা চিহ্নিত করতে পারবে কারা সাইবার হামলা চালিয়েছিল এবং তা বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রেকর্ডেড ফিউচারের সিওও-কে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, চীনের সরকারি মদতপুষ্ট সংস্থা রেড ইকো সাইবার হানার মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহনের অনেক তথ্য পেয়ে যায়। তারপরই তারা মুম্বাইকে অন্ধকার করে দিয়েছিল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন বরাবরই সাইবার হামলার বিরোধী।